বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক অঞ্জনের পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন আমাদেরকে হয়রানী করে ভূ-সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করছে কু-চক্রি মহল – স্ত্রী পপি রানী দে

অভিজিত রায় ॥
বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের খন্ডকালীন ইংরেজী শিক্ষক ধর্ষন মামলার অভিযুক্ত আসামী অঞ্জন কুমার দে’র পরিবার ১৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। রবিবার বিকেল ৫টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষক অঞ্জন কুমার দে’র স্ত্রী পপি রানী দে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার পারিবারিক সম্পওি উদ্ধার করতে গিয়ে আমার স্বামী মিথ্যা ধর্ষন মামলার শিকার হন।
তিনি আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা গত ২ দিন যাবত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যে সংবাদ পরিবেশন হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু কথা বলার জন্য আজ আমি এখানে আপনাদের সম্মুখিন হয়েছি, একজন অসহায় বোন ভাইদের দ্বারপ্রান্তে। চাঁদপুর বাবুরহাট এলাকায় আমার স্বামীর অনেক পৈত্রিক সম্পওি রয়েছে। এ সকল সম্পত্তির প্রতি কতিপয় ভূমিদস্যুদের লোলুপ দৃষ্টি, মাল্টিপারপাস নিয়ে আমার স্বামীর সাথে কতিপয় অংশীদারের বিশ^াসঘাতকতা, বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজ আমার পারিবারিক সম্পত্তিতে দখলে থাকা এবং তা উদ্ধারে প্রয়োজনীয় চেষ্টা করার কারনে ও আমাদের পরিচালিত বাবুরহাট মডেল একাডেমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কতিপয় ব্যাক্তিদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আজ আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এই ধর্ষন মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের পরিবার বড় এক সড়যন্ত্রের শিকার। বর্তমানে আমরা দারুন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছি এবং ঐ চক্রটি আমাদেরকে নিজ ভূমি থেকে উৎখাতের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, আমি একজন অসহায় পরিবারের গৃহবধূ। একজন মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল থানা। অথচ আমার আটককৃত স্বামীকে বিচারের পূর্বেই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই পুলিশ থানা হাজতে থাকা অবস্থায় পিছ মোড়ে হাত বেঁধে গভীর রাতে এস আই জাহাঙ্গীর নির্মম অত্যাচার করে। দুস্কৃতিকারীগন প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার স্বামীর বিচারের দাবীতে আমার বাড়িঘর ভাংচুর, আমার ঘরে থাকা স্বর্নলংকারসহ নগদ টাকা লুট ও আমার মালিকানাধীন বাবুরহাট কোচিং সেন্টারে নরকীয় তান্ডব চালায়। অথচ এই ভাংচুর ও লুটপাটের জন্য থানায় মামলা দিতে গিয়ে আমরা ব্যার্থ হই। থানায় আমাদের মামলা নেয়নি। তার রহস্য উত্তর কোথায় সেটা আমার জানা নেই।
শ্রদ্ধাভাজন সাংবাদিকবৃন্দ, স্কুলছাত্রী উম্মে তাহমিদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের নিকট লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছেন আমার স্বামী নাকি তাকে শারিরিক ভাবে উত্তক্ত করেছেন। অথচ তার মা রোকেয়া বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় এজাহারে উল্লেখ করেছেন তার মেয়েকে নাকি ধর্ষন করা হয়েছে। এখন কোনটা সত্য! তার বিচার বিবেচনা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। কারণ ভিকটিম যে সে নিজে বলছে এক কথা, আর তার মা বলছে অন্যরকম। এতেই প্রতিয়মান হয় যে, আমাদিগকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানী করে আমাদের ভূ-সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্ঠা করছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিচারে যা হবে তাই মেনে নিবো। শুধু এতটুকু বলবো, আমার পরিবার যেনো অহেতুক হয়রানীর শিকার না হয়।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটওয়াীর সভাপ্রধানে ও সাধারন সম্পাদক রহিম বাদশার পরিচালনায় সাংবাদিকদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, কাজী শাহাদাত, বতর্মান কমিটির সহ সভাপতি বিএম হান্নান সহ চাঁদপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীগন।