ফরিদগঞ্জের বালিথুবায় ফসলি জমিতে ব্রিক ফিল্ড নির্মাণ না করার জন্যে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়ায় অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, বালিথুবায় ফসলি জমিতে হাজী মোঃ অদুদ এন্ড সফিউল্যাহ মিয়া ব্রিকস্ নির্মাণের জন্যে প্রস্তুতি নেয়। যা সম্পূর্ণ পরিবেশ আইন বিরোধী। ঐ সময় নিজেদের সম্পত্তি রক্ষার্থে বালিথুবা গ্রামের আবুল খায়ের ভূঁইয়ার ছেলে কেয়ার বাংলাদেশ এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা মোঃ মোতালেব ভূঁইয়া বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগ দায়েরের কারণে প্রতিপক্ষ ব্রিক ফিল্ডের পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ গত ১৫ জানুয়ারি মোতালেব ভূঁইয়া ও ইউনুছ ভূঁইয়া (কালুর) বিরুদ্ধে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার বরাবর ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে মোতালেব গং দাবি করেন। অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করার জন্য পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবিকে) দায়িত্ব দেন।
এদিকে গত ১৫ জানুয়ারি মোতালেব ভূঁইয়া তার কর্মস্থলে কর্মরত ছিলেন এবং ইউনুছ ভূঁইয়া (কালু) ঢাকায় তার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। এমতাবস্থায় ১৫ জানুয়ারি তারা কীভাবে চাঁদাবাজি করলেন সেটাই তাদের কাছে প্রশ্ন।
প্রকৃতপক্ষে সম্পত্তি রক্ষার্থে মোতালেব ভূঁইয়া ও ইউনুছ ভূঁইয়া বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়াতেই তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। এলাকার একটি কুচক্রী মহলের সহযোগিতা ও মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ তার প্রভাব বিস্তার করে ওই দু�ব্যক্তিকে ছাড়াও বিভিন্ন লোকজনকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি সূত্র জানায়, মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মানুষকে হয়রানি করা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আদালতে চেক ডিজঅনার মামলাও হয়েছে। এলাকার নিরীহ মানুষজন আব্দুল আজিজের হয়রানি ও মিথ্যা অভিযোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্ত ও সহযোগিতা কামনা করছেন।