প্রতিনিধি ==
চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ৮ নং ইউনিয়নের পশ্চিম গুলিশায় ২য় শ্রেণীর ছাত্রিকে জোরপূর্বক ধর্ষন করেছে স্থানীয় ছৈয়াল বাড়ির ৪ সন্তানের জনক লম্পট মন্টু ছৈয়াল (৫৫)। এই ধর্ষনের ঘটনায় ভুক্তভোগি শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ৮নং ইউনিয়নের পশ্চিম গুলিশায় রাজমিস্ত্রী সোলেমান গাজির মেয়ে ২য় শ্রেণীর ছাত্রী রেশমাকে জোর পূর্বক ধানক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেছে পাশ্ববর্তি ছৈয়াল বাড়ির ৪ সন্তানের জনক চরিত্রহীণ মন্টু ছৈয়াল। রেশমা স্থানীয় জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীতে পড়ে। সে দু’বছর যাবৎ তার দাদা-দাদির কাছে থেকে পড়ালেখা করতো। তার বাবা সোলেমান গাজী ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে ও মা সুফিয়া বেগম একজন গার্মেন্ট কর্মী। গত ১ অক্টোবর রবিবার রেশমা স্কুলে গেলে তাকে তার এক সহপাঠির মাধ্যমে দুপুরে স্কুল থেকে ডেকে আনে। নরপিচাশ মন্টু ছৈয়াল কৌশলে তার সাথে থাকা শিশুটিকে সরিয়ে টাকার লোভ দিয়ে ধান ক্ষেতের জালা লাগানোর কথা বলে রেশমাকে পশ্চিম গুলিশা গাজী বাড়ির পিছনে চেঙ্গাতলি ধান ক্ষেতের বিলের গভীরে নিয়ে যায়। সেখানে মন্টু ছৈয়াল রেশমাকে জোর পূর্বক মুখে চাপ দিয়ে ধর্ষন করে স্কুলের দিকে পাঠিয়ে দেয়। যাবার সময় রেশমার হাতে ৫টাকা ধরিয়ে দিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য বলে। যদি বলে তাহলে তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রেশমা চলে যাবার সময় পাশের গাজি বাড়ির আঃ আজিজের স্ত্রী হাসিনা ও আমিন হোসেন গাজীর স্ত্রী পারভীন শিশুটিকে বিল থেকে আসতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এ ঘটনা গৃহবধূ পারভীন রেশমার দাদী লুতুফা বেগমের কাছে গিয়ে বলেন রেশমা স্কুলে না গিয়ে বিলের মাঝখান থেকে কি কারনে এসেছে তা জিজ্ঞাসা করার জন্য। ঘটনার দিন রাতে রেশমা প্রকৃতির ডাকে বাহিরে গিয়ে ফিরে এসে তার দাদিকে বলেন, মলদ্বারে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করছে। দাদি বিষয়টি অর্শ্ব রোগ ভেবে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। পুনরায় সকালে একই ঘটনা ঘটলে তার চাচি রুহুল আমিন গাজীর স্ত্রী শাহিনুর রেশমাকে ব্যাথার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ধর্ষণের ঘটনার বিবরণ দেয়। রেশমার ব্যথা বেড়ে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ শুরু হলে তার পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেশমাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা নিতে বলেন। এ ঘটনাটি এলাকায় জানা জানি হলে গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে প্রশাসন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার দেলোয়ার হোসেন ধর্ষক মন্টু ছৈয়ালের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধাপাচাপার পায়তারা শুরু করে। পরবর্তী মানবাধিকার সংস্থা ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতায় রেশমার পরিবার চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লম্পট মন্টু ছৈয়ালের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং ধর্ষণের স্থান পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করে। এ সময় গ্রামবাসী শিশু রেশমাকে ধর্ষণের প্রতিবাদে অভিযুক্ত মন্টু ছৈয়ালের শাস্তির দাবী জানায়। ঘটনার পর থেকে মন্টু ছৈয়াল বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, লম্পট মন্টু ছৈয়াল এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শিশুকে অর্থের লোভ দেখিয়ে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী প্রশাসনের নিকট মন্টু ছৈয়ালের উপযুক্ত শাস্তির দাবী করছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।