স্টাফ রিপোর্টার:
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় অতর্কিতভাবে কিছু সংখ্যক লোক হঠাৎ করে সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া বাজারস্থ আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ব্যানার পোস্টার ভাংচুর করে পরে ওই অফিসে তালা দেয়। স্থানীয় লোকজনের কাছে অফিসে তালা দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা জানান, জনৈক ওমর ফারুক তালুকদার গত ২৭ ডিসেম্বর রাত ৮টায় আবে ঝম ঝম লঞ্চের একই কেবিন হতে মরিয়ম বেগম (২৫) স্বামী আলাউদ্দিন, সাং- ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ, এর সাথে গ্রেফতার হন সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মামুনের হাতে। পরে তাদেরকে কোতায়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়। খবর পেয়ে ৯নং বালিয়া ইউপির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলাম মিয়াজী ছুটে যান। তিনি কোতোয়ালী থানায় গিয়ে ওমর ফারুক তালুকদার ও মরিয়ম বেগমকে পুলিশের হাত থেকে ছুটিয়ে নিয়ে আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৮ ডিসেম্বর বালিয়া বাজারের আওয়ামী লীগের অফিসে তালা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ওমর ফারুক তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে আমাকে নির্বাচন থেকে সরানোর জন্যে।
এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম মিয়াজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয় কিছুই জানি না। আমি সদরঘাটের একজন ব্যবসায়ী। হঠাৎ করে শুনতে পারি চাঁদপুরের আবে ঝম ঝম লঞ্চ থেকে চাঁদপুরের এক জোড়া ছেলে-মেয়েকে পুলিশ আটক করেছে। চাঁদপুরের কথা শুনে আমি ছুটে যাই। গিয়ে দেখি ওমর ফারুক তালুকদার। সে তো আমার কাছের লোক এবং আমার গ্রামের। তাই আমি তার উপকার করার চেষ্টা করেছি। উপকারের প্রতিদান হিসেবে আমি পেলাম আমার অফিসে তালা। তাই আমি আমার জানমাল হেফাজতের জন্য চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি।