প্রতিনিধি : চাঁদপুরের ঘোষের হাটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। বিএনপির সাবেক এমপি জি এম ফজলুল হকের বাড়িসহ ২০ টি যানবাহন ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে বিভিন্ন স্থান থেকে পিকের্টিং কালে বিএনপি-জামায়াতের ৮কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার পর্যন্ত পুলিশি অভিযানে তাদের আটক করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বাবুরহাট এলাকা থেকে আ’লীগের কর্মীরা একটি হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে ঘোষের হাটে গিয়ে স্থানীয় বিএনপি অফিস ও বিলবোর্ড ভাংচুর করে। এ সময় বিএনপি কর্মীরা প্রতিরোধ করতে এলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।পরে আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপি সাবেক এমপি জি এম ফজলুল হকের বাস ভবনে হামলা ও ভাংচুর করে। এর ঘটনার পর চাঁদপুর-কুমিল্লা মহসড়কের ঘোষের হাটে দুই কিলোমিটার এলাকায় ব্যারিকেট দিয়ে ব্যাপক তান্ডব চালায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা। ভাংচুর করা হয় ২০টি যানবাহন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের মোটরসাইকেলও পুঁড়িয়ে দেয়া হয়। পরে দুপুর একটার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ ও ফায়ার সর্ভিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।পুলিশি অভিযানে আটকৃতদের মধ্যে একজন শিবির কর্মী বাকীরা বিএনপির। এদের মধ্যে, কচুয়ায় দুই জন, ফরিদগঞ্জে তিন জন ও সদর, শাহরাস্তি ও মতলব দক্ষিণে তিন জনকে আটক করা হয।গ্রেফতার আতংকের মধ্যেও হরতালের সমর্থনে চাঁদপুরে বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অবশ্য পুলিশি বেস্টনীর মধ্য দিয়ে শহরের কলেজ গেইট, বাসস্ট্যান্ড, জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে খন্ড খন্ড মিছিল বের হয়।অপর দিকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল না করলেও প্রচুর পরিমান সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও রিক্সা চলাচল করতে দেখা গেছে। ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর জানান, পিকেটিং করার সময় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি-জামায়াতের ৮ কর্মী আটক করা হয়েছে।
শিরোনাম:
রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।