
কচুয়া সংবাদদাতা: কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ আজহার উদ্দীন সাহেল তিনি ভবিষ্যতে একজন বিচারক হতে চান কিংবা একজন আদর্শবান আইনজীবী হয়ে মুজিব আদর্শে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি ফেইসবুকের একটি স্ট্যাটাসে
উল্লেখ করেন বলেন, আমি একজন আইনের ছাত্র। রাজনীতি করেই আমি আমার ফিউচার সাজাবো এমন কোন প্ল্যান আমার নেই।
আমার বাবা, মা, ভাই সবাই প্রায় দীর্ঘ ত্রিশ বছর দেশের বাহিরে থাকে। আমিও বাবা-মায়ের সাথে দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে ছিলাম। পরবর্তীতে দেশে এসে আমি আমার বড় মামার কাছে বড় হয়েছি। যিনি একজন সফল আইনজীবী, সফল জনপ্রতিনিধি, দক্ষ সংগঠক ও একজন সফল আওয়ামী নেতা অ্যাড.হেলাল উদ্দিন । আমার মামার সহধর্মিণী মানে আমার মামিও একজন আইনজীবী অ্যাড.রোকেয়া । তারা আমাকে তাদের মতো করে শিক্ষা দিয়েছেন। আমি যতটুকু শিখেছি তাদের কাছ থেকেই শিখেছি। সেই সুবাদে আমি ক্লাস নাইন থেকেই মুজিব আদর্শে স্বপ্ন দেখতাম আমি একজন বিচারক হব কিংবা ভালো একজন আইনজীবী হব। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করব। আমি সেই লক্ষ্যেই আছি এখনো। এবং সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আমি আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে যা যা করার তা করে যাচ্ছি এবং করে যাব।
আমি স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। রাজনীতি করে এখন অবদি চার আনা পয়সাও আমি কখনো ইনকাম করিনি, করার ইচ্ছাও কখনো ছিল না আর ফিউচারে রাজনীতি করে দু’চার টাকা ইনকাম করারও কোন রকম ইচ্ছা বা প্ল্যান নেই আমার। বরং নিজের বাবার দেয়া টাকা ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে ব্যয় করেছি আমি। আবার বড় পদবীর আশাও করিনি কখনো।
হ্যাঁ, আমি মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী। আমি কট্টরপন্থী আওয়ামী লীগ। আমার পরিবারের কয়েকজনই আওয়ামী রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত। আর পরিবারের প্রত্যেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িত। আমি মুজিব আদর্শ লালন করে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আমৃত্যু কাজ করে যাব এটা আমার কমিটমেন্ট। আমি ছোটবেলা থেকেই চাটুকারিতা পছন্দ করি না। কোন আবদ্ধ দেয়ালে বন্দি হয়ে যাব এমন ছেলে আমি নই। আমি বর্তমানে চলমান নোংরা রাজনীতির বিপক্ষে। নিজেদের দলের মধ্যে মারাত্মক গ্রুপিং!! যা আমার একেবারেই পছন্দ নয়।
তাই আমি শুধু আমার সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে চাই। আগে পড়ালেখা পরে রাজনীতি।
আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।