* ইচ্ছেমতো বাড়ি ভাড়া ভাড়াচ্ছেন সুযোগ সন্ধানি বাড়ির মালিকরা
* সন্তানদের আধুনিক পদ্ধতিতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে অধিকহারে শহরমুখী
* গ্রামের উঠতি বয়সী যুবকদের সাথে নিজের সন্তান নেশাগ্রস্থ হওয়ার আশংকা
মেঘনার তীরবর্তী চাঁদপুর শহর, শহরের তিন দিকেই নদী বেষ্টিত। শহরটিতে বর্তমানে পাশবর্তী জেলাশহর তুলনায় যানজট তীব্র আকার ধারন করেছে। সাধারণত প্রতি বছর বর্ষাকালে ডাকাতীয়া নদীর পানি উচ্চতা বেশি থাকায় ইচলী লঞ্চঘাট কয়েক মাসের জন্য বন্ধ থাকে। তখন লঞ্চযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করা যাত্রীদের আসা যাওয়ার সময় শহরের জানযট একটু বেশি দেখা যেত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন শহরের যানজট ক্রমান্বয়ে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে। এর কারণ অনুসন্ধানে জানা যায় গ্রামের বিত্তশালী ও প্রবাসী বাসিন্দারা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ তথা ভাল পড়া লেখা কথা চিন্তা করে শহরের বসবাস করা শুরু করছেন। গ্রাম থেকে শহরে আসা নতুন এক বাসিন্দা মৎস ব্যবসায়ী কবির পাটওয়ারী জানান তিনি দীর্ঘদিন বাগাদী চৌরাস্তা এলাকায় মাছের আড়ৎ ব্যবসা করতেন। কিন্তু এখনো আড়ৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন, কিন্তু তার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শহরের ষ্টোডিয়াম রোড এলাকায় বসবাস করেন। এছাড়া এ ব্যবসায়ীর মতো অসংখ্য ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের পরিবারবর্গ শহরে থাকতে স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন শুধুমাত্র আদরের সন্তানটিকে পড়ালেখা করিয়ে মানুষ করার জন্য। এছাড়া অনেকের সন্তান গ্রাম থেকে প্রাইমারী শেষ করে, মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ালেখা করছে, এ ধরনের অভিভাবকদেরকে গ্রাম ছেলে শহরের বসবাসের কারণ জানতে চাইলে প্রতিবেদককের জানান বর্তমান ছেলে-মেয়েরা একটু বড় হলে গ্রামীণ পরিবেশে ইয়াবার খপ্পরে পড়ে যায়, কিন্তু শহরে সন্তান যতই বড় হউক তাকে চোখের সামনে রাখা যায়, কিন্তু মানুষ না হলেও অন্ততপক্ষে ইয়াবাসেবীদের নিকট থেকে দুরে রাখা যায়। অপরদিকে বছরের শুরুতে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির হিড়িক পড়ার পাশাপাশি শহরের বাড়িগুলোতে ভাড়াটিয়াদেরও ভিড় জমে যায়। ভিড়ের কারনে নতুন-পুরাতন সকল বাড়ির মালিকরা নিজেদের ইচ্ছেমত বাড়ি ভাড়া বাড়াচ্ছেন। এদিকে পুরাতন ভাড়াটিয়াদের মধ্যে যারা অল্প বেতনে চাকুরী কিংবা স্বল্প আয়ের ব্যবসায়ীরা আছেন বিপাকে। তাদের সিমাবদ্ধ আয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, সন্তানদের লেখা-পড়ার খরচ ইত্যাদী পেরে উঠছেন না। অথচ বহুতল ভবন নির্মানে ঝূঁকিপূর্ন হওয়ার কথা থাকলেও বড় ভবন তৈরী যেন হিড়িক পড়ে গেছে নদীর তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এ শহরটিতে। সবমিলিয়ে শহরে যানজটও ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে।