মিজানুর রহমান রানা / এম এ আকিব
আলোকিত মানুষ গড়ার কাজে দীর্ঘদিন সেবা দিয়ে এবার বিদায়ের পথে তিন প্রজন্মের শিক্ষক মো. হোসেন পাটওয়ারী। বয়োবৃদ্ধ হলেও তার কর্মতৎপরতায় কোনো কান্তি নেই। কর্মক্ষেত্রে সবার আগে আসেন, ফিরেন সবার পরে। তিনি নিজ কর্মক্ষেত্রে সকল সহকর্মী ও এলাকায় একজন আদর্শ। সবার মাঝে এ মহান মানুষ গড়ার কারিগর তিন প্রজন্মের শিক্ষক হিসেবেই পরিচিত। যে স্কুল থেকে তিনি বিদায় নিচ্ছেন সে স্কুলের একাধিক শিক্ষক তার ছাত্র, যাদের বাবা-মা এবং সন্তানরাও এ শিক্ষকের হাতেই জ্ঞানের আলো পেয়েছেন।
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১১৩ নং পোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১৯৭৩ সালে যোগদান করেন তিনি। একই বছর প্রাইমারী স্কুলকে সরকারিকরণ করা হয়। তার পিতা সৈয়দ আহমদও একই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। মজার ব্যাপার, এ গ্রামেই ১৯৫৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার জন্ম, আবার এ স্কুলেই শুরু এবং নিজ গ্রামের এই স্কুল থেকেই বিদায় নিতে যাচ্ছেন তিনি।
৪৩ বছরের ঊর্ধ্বে শিক্ষকতা থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর সেই মহান মানুষ গড়ার কারিগরকে বিদায় দিতে হবে। যা মেনে নিতে গিয়ে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে তার কাছে হাতেখড়ি পাওয়া ছাত্রদের। বিশেষ করে যারা তার ছাত্র থেকে এখন হয়েছেন একই স্কুলে তারই সহকর্মী। এমনটিই জানান চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১১৩ নং পোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের সমাপ্তি ঘটবে, আপনি ছেড়ে যাবেন স্কুল, কীভাবে নেবেন বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবন যেমন স্থায়ী নয়, তেমনি কোনো কর্মস্থলও স্থায়ী নয়। আমার জীবনের সমাপ্তি যেমনভাবে মেনে নেবো, ঠিক সেভাবেই মানতে হবে এ বিচ্ছেদ। তবে জ্ঞানের জগতে বিদায় বলে কিছুই নেই, নিচ্ছিও না। আমি বেঁচে থাকতে চাই জ্ঞানের জগতে। শুভ কামনা রইলো ভবিষ্যত প্রজন্মের শিক্ষকদের জন্যে।
শিক্ষাজীবনে তৎকালীন সময়ে তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের পিতা।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।