ঢাকা: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর কোনো সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের বিচার করতে পারেননি। তিনি ও তার পুলিশ কর্তৃপক্ষ সাগর-রুনি হত্যার কোনো সুরাহা করতে পারেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরকার ও গণমাধ্যমকে প্রশ্নবোধকের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন।বার বার আল্টিমেটাম দিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাগর-রুনির হ্ত্যাকারীদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদায় বেলায় তাকে কোনো নম্বর দিতে পারলাম না। শূন্য দিলাম।”
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাগর-রুনির হত্যার বিচারের দাবিতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি শাহেদ চৌধুরী। সমাবেশ চলাকালে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আগামী ২৯ নভেম্বর ডিআরইউ’র বার্ষিক সাধারণ সভার পর আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সমাবেশ থেকে জানানো হয়।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড সমগ্র সাংবাদিক সমাজকে একত্রিত করেছে। আর আমরা সবাই মিলে এই হত্যার বিচার চাই। এই বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমাদের ক্ষোভ থাকবে।আমরা দুঃখিত যে, হরতালে সারা দেশে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত করবে, আর আমরা এই তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেব। কিন্তু এই রকম পরিস্থিতির হলে আমাদের পেশাদারিত্বের কোনো নিরাপত্তা থাকবে না। আমরা চাই সংলাপের মাধ্যমে দেশে একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করুক।”
বিএফইউজের আরেকাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, “মন্ত্রীদের পদত্যাগের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যে থাকবেন, তার প্রতি আমরা সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সহকর্মী হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করে ডিআরইউ সভাপতি শাহেদ চৌধুরী বলেন, “তিনি মেঘের দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। আমি সমাবেশে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কথার বাস্তবায়নের দাবি জানাই। আমরা বুঝি না কোন রহস্যের কারণে সাগর-রুনির হত্যাকারীরা গ্রেফতার হচ্ছে না। এই রহস্য ভেদ করে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে এবং বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। নইলে আগামী নির্বাচনে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।”
তিনি জানান, ২৯ নভেম্বর ডিআরইউ এর বার্ষিক সভার পর আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সমাবেশের সঞ্চালক ছিলেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আব্দুল হাই শিকদার ও ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএফইউজে মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূইয়া প্রমুখ।