চাঁদপুর:
অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাতে অভিযান চালাতে গিয়ে চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগ বাজারে চাঁদপুর পৌরসভার কর্মকর্তাদের মারধর করলেন সাব ইজারাদার কাইয়ুম খানসহ তার লোকজন।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ নাছির উদ্দিন আহামেদের নির্দেশে গতকাল বুধবার দুপুরে বিপণীবাগ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত উচ্ছেদ করতে যান পৌরসভার বাজার পরিদর্শক নাছির উদ্দিন খান, সহকারী বাজার পরিদর্শক এমদাদ হোসেন মিলন ও শাহাজাহান মাঝিসহ পৌরসভার ১০ সদস্যের একটি দল। অভিযান চলাকালীন ইজারাদার কাইয়ুম খানসহ তার লোকজন পৌর কর্মচারীদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। খবর পেয়ে পৌর মেয়র তাৎক্ষণিক চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে মডেল থানার এসআই কিবরিয়া ও এসআই মানিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাইয়ুমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে না আসলে ঘটনাটি ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নিতো।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে তারা দাবি করেন, আমরা যারা এখানে মাছ বিক্রি করি তারা সবাই অনেক দূর থেকে আসি। রাতের বেলা আমাদের মাছ ও ঝুপড়িগুলো বাজারের মধ্যে রেখে যাই। পৌরসভা যদি এগুলো সরিয়ে ফেলে তাহলে তো আমাদের আগে জানাতে পারতো। বিপণীবাগ বাজার কমিটির সভাপতি সিরু মিজির সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, এখানে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এসে মাছ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে তাদের জিনিসপত্র রেখে যায়। পৌরসভা থেকে যদি এগুলো উচ্ছেদ করা হয় তাহলে তো আমাদের আগে জানাতে পারতো।
বিপণীবাগ এলাকায় বসবাসকারী নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জানান, চাঁদপুর পৌরসভা থেকে তো মাছ বাজারের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তারা নির্দিষ্ট স্থানে না বসে বাহিরে বসে। এতে করে এলাকায় নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। তারা যেই রাস্তা দখল করে ফুটপাতে দোকানদারি করছে সেটা দিয়ে তখন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। চাঁদপুর শহরে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। এই রাস্তাটি পরিষ্কার থাকলে অনেক যানবাহন চলাচল করতে পারবে এবং শহরটি যানজট মুক্ত থাকবে। তারা পৌরসভার এ কাজের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
চাঁদপুর পৌরসভার বাজার পরিদর্শক নাছিরউদ্দিন খানের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, চাঁদপুর পৌরসভা থেকে বিপণীবাগ বাজার ইজারা বাতিল করা হয়েছে। বুধবার থেকে চাঁদপুর পৌরসভার লোকজন কলেকশান করছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পূর্ববর্তী কোনো সংকেত দেয়া হয় না। যাদের উচ্ছেদ করা হবে তারা তখন সেখান থেকে সরে যায়। সরকারি কাজে বাধা প্রদান করায় বুধবারই সাব ইজারাদার কাইয়ুম খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, কাইয়ুম খানকে আটক করার পর তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য অনেক তদবির চলে।