জানা যায়, বিপণীবাগ এলাকার খোরশেদ ও কুমারডুগী এলাকার সবুজ ২০১১ সালে সেভেন স্টার ট্রান্সপোর্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। ১৬ মাস পর সবুজকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে তিনি ছেড়ে দেন। এরপর সবুজ বাবুরহাট এলাকার মনিরের কাছে ট্রান্সপোর্ট বুঝিয়ে দেন। এর কিছুদিন পর খোরশেদ গাজী নতুন করে নিউ দোয়েল ট্রান্সপোর্ট নামে চাঁদপুরে একটি শাখা খুলেন। এরপর থেকেই মনির ও জুয়েল তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিভাবে এ এলাকায় থাকে এ নিয়ে বেশ ক’বার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এ নিয়ে বেশ ক’বার তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ প্রতিহিংসার কারণেই তারা অবরোধের সময়টিকে বেছে নিয়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। নিউ দোয়েল ট্রান্সপোর্ট পণ্যবাহী ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করায় মোঃ খোরশেদ গাজী বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মনিরুল ইসলাম (৩৮) ও জুয়েল (২০)কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। যার নং-০১, তারিখ- ০১/১২/১৩।
শিরোনাম:
রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি ==
সারাদেশেই চলছে বিরোধী জোটের অবরোধ। অবরোধকারীরা সব জেলাতেই বাস, ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে। কিন্তু শান্তি প্রিয় চাঁদপুর জেলায় এ ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া না গেলেও এ অবরোধকে সামনে রেখে ব্যবসায়িক প্রতিহিংসার কারণে এক ব্যবসায়ীর ট্রাকে থাকা মালামাল প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী কর্তৃক আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগ এলাকায়। নিউ দোয়েল ট্রান্সপোর্টের চাঁদপুরের পরিচালক মোঃ খোরশেদ গাজী ঢাকায় তাদের ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে চাঁদপুরের ১২ জন হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীর মালামাল চাঁদপুরে আনেন। ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-৫০২২ গাড়িটি শনিবার রাত ১১টায় বিপণীবাগ পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এসে পৌঁছে। এরপর খোরশেদ গাজীসহ নিউ দোয়েল ট্রান্সপোর্টের কর্মকর্তারা রাত আড়াইটা পর্যন্ত ট্রাকটির সামনে মালামাল দেখাশোনা করেন। এরপরই তারা বাড়ি চলে যান। ট্রাকটির মালিক মতলবের জমির। গাড়ি চালক হেলপারকে গাড়িতে রেখে চলে যান। গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, হেলপার গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়েছিলো। ফজর নামাজের পর তাকে কে যেনো গাড়িতে আগুন জ্বলছে বলে ডাক দেয়। সে সাথে সাথে চাঁদপুর ট্রান্সপোর্টের মালিককে খরব দিয়ে নিজেই আগুন লাগা মালবাহী ট্রাকটি চালিয়ে মিশন রোডস্থ ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে নিয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগা গাড়িটি তাদের কার্যালয়ের সামনে নিয়ে গেলে তারা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ট্রাকে থাকা হার্ডওয়্যারের সামগ্রীসহ মেশিনারী জিনিসপত্র অনেকাংশ পুড়ে যায়। এর মধ্যে জেলা যুবদল সভাপতি শাহজালাল মিশনের অনেক টাকার প্লেনশীট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে স্থানীয় হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীরা পুড়ে যাওয়া মালগুলো সকাল বেলা গাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।