অনলাইন ডেস্ক=
বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ ব্যক্তির তালিকার পর এবার ১০০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকা প্রকাশ করলো ফোর্বস ম্যাগাজিন। পুরুষ ও নারীর সম্মিলিত তালিকায় শীর্ষে আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন। পরের অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সম্মিলিত তালিকায় নারীদের মধ্যে আছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ডিলমা রউসেফ, ভারতের কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী সহ কয়েকজন নারী। নারীদের পৃথক তালিকায় শীর্ষে আছেন জার্মান চ্যান্সেলর। দ্বিতীয় অবস্থানে ডিলমা রউসেফ, তৃতীয় অবস্থানে মেলিন্ডা গেটস। সোনিয়া গান্ধী আছেন নবম স্থানে। দুঃখজনক হলেও, আমাদের দেশের দুই নেত্রীর কেউই নেই এ তালিকায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, সংসদের স্পিকার তিনজনই নারী। দল ও রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। বিরোধী দলীয় জোটের নীতিনির্ধারণে বিরোধী দলীয় নেত্রীর ব্যাপক কর্তৃত্ব। তারপরও এ দুজন ফোর্বস তালিকায় নেই। তালিকায় আছেন নাইজেরিয়ার অর্থমন্ত্রী, লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট, মিয়ানমারের বিরোধী নেত্রী আং সান সুকি। রাষ্ট্রপ্রধান, আইনপ্রণেতা, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সিইওদের সাথে স্থান করে নিয়েছেন বিনোদন সাম্রাজ্যের সেলিব্রেটিরাও। কিন্তু এ তালিকায় নেই শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার নাম। কেন?
ফোর্বস জানাচ্ছে, প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য তারা ২৫০ জন নারীর তালিকা করেছিল ৭ ক্যাটাগরিতে। সেগুলো হলো- বিলিয়নিয়ার, বিজনেস, লাইফস্টাইল, মিডিয়া, এনজিও ও অলাভজনক কর্মসূচি, রাজনীতি ও প্রযুক্তি। এখান থেকে তিনটি মানদণ্ডে র্যাকিং করা হয়েছে। মানদণ্ড তিনটি হলো- অর্থ, গণমাধ্যমে উপস্থিতি ও প্রভাব। গণমাধ্যমে উপস্থিতির ক্ষেত্রে টিভি, রেডিওর পাশাপাশি ফেসবুক ও টুইটারে ফ্যান ও ফলোয়ার এবং ইউটিউবের সাবস্ক্রাইবারদেরকেও হিসাবে নেয়া হয়েছে। প্রভাবের ক্ষেত্রে, তারা নিজের শিল্প উদ্যোগ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও রাজনীতির প্রভাব কতটা অন্যত্র সঞ্চারিত করতে পেরেছেন তা বিচার করা হয়েছে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।