শহর প্রতিনিধি-
বিঞ্চুদী এলাকায় আবারও মাদকসেবীদের আড্ডা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন বিষ্ণুদী বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রি ও সেবন বন্ধ থাকলেও ইদানীং রাতে বহিরাগত মোটর সাইকেল আরোহী ও স্থানীয় মাদকসেবীদের আড্ডা দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে বিষ্ণুদী রোডের মাদক ব্যবসায়ী নাছির মুন্সী ওরফে ডোমকে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ৪৫পিস ইয়াবাসহ আটক করে। এরপর ঐ রোডে এবং আশেপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা ও সেবন কমে যায়।
গত ৪/৫দিন যাবৎ বিষ্ণুদী রোডের ব্রিজের উত্তর পাশে আটক মাদক ব্যবসায়ী নাছির মুন্সীর স্ত্রীর মুদি দোকানের সামনে রাত ১২টার পর যুবকদের আড্ডা দেখা যায়। এলাকাবাসী সন্দেহ পোষণ করে বলছে, এত রাতে মুদি দোকান খোলা রাখার কারন কী? আর এসব অপরিচিত যুবকদের আড্ডা কেন এখানে? মাদক ব্যবসা চলমান না থাকলে রাত ১২টার পর দোকান খোলা থাকে কেন? এলাকাবাসী কেউ কেউ বলেন, নাছির মুন্সী ৭/৮ বার মাদকসহ আটক হয়েছে। মামলাগুলো চলমান। ১/১১-তে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কর্তৃক মাদকসহ আটক হয়, ওই মামলা চলমান। এরপরও কয়েকবার ইয়াবাসহ আটক হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার পূর্বের মাদক ব্যবসায় ফিরে আসে। তার স্ত্রী বড় গলায় বলে, মাদক মামলাগুলো পরিচালনা করতে অনেক টাকা খরচ হয়। মাদক ব্যবসা না করলে মামলাগুলো কিভাবে পরিচালনা করবে। গত ১০ সেপ্টেম্বর নাছির মুন্সী ৪৫পিচ ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পর তার স্ত্রী বিভিন্ন জনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার মাদক ব্যবসায় যেন কেহ প্রতিবাদ না করে এজন্য উচ্চ স্বরে গালিগালাজ করে। এছাড়া বিষ্ণুদী রোডের নাপিত বাড়ি এলাকা, পশ্চিম বিষ্ণুদী নদীর পাড় পাকা মার্কেট, মাঝি বাড়ি, মোল্লা বাড়ির রোডে জিটি রোড উত্তর ব্রিজের কাছে, জিটি রোড দক্ষিণ দর্জিঘাট, স্বর্ণখলা রোড বালুর মাঠে এখন মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৮ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৪ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।