চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুর গ্রামে এক সন্তানের জনক সাগর দর্জি (৩০) দ্বিতীয় বিয়ে করে উধাও হয়ে গেছে।
জানা যায়, একই উপজেলার শিলন্দিয়া গ্রামের হাশেম মজুমদারের মেয়ে রাবেয়া
আক্তারের সাথে ৪ বছর পূর্বে সাগর দর্জির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের
কথা চিন্তা করে জামাই সাগরকে ১ লাখ টাকা দেন মেয়ের বাবা। বিয়ের ২ বছর পর
সিএনজি অটোরিকশা ক্রয় করার জন্যে পুনরায় ১ লাখ টাকা দেন। এরই মাঝে তাদের
সংসারে চলে আসে আলিফা নামে এক কন্যা সন্তান। সাগর প্রায় সময় তার স্ত্রীকে
মারধর করতো টাকার জন্য। কিন্তু অসহায় পিতার পক্ষে টাকা দেয়া সম্ভব না বললে
রাবেয়ার উপর নির্যাতন বেড়ে যায়। এমনকি প্রায় সে রাবেয়াকে বলতো, তুই টাকা
দিতে পারবি না তো আমি দ্বিতীয় বিয়ে করে টাকা নিবো। কিন্তু তার কথাই অবশেষে
সত্যি হলো। সাগর দ্বিতীয় বিয়ে করে উধাও হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ১ম স্ত্রী রাবেয়া বেগমের বাবার পরিবার জানায়, সাগর দর্জি
রাবেয়াকে টাকার জন্যে প্রায় মারধর করতো। রাবেয়ার সুখের কথা চিন্তা করে
বিয়ের সময় ১ লাখ টাকা ও সিএনজি অটোরিকশা কেনার জন্য ১ লাখ টাকাসহ মোট ২ লাখ
টাকা দেই। তারপরও রাবেয়াকে তার জামাই প্রায় মারধর করতো। এমনকি ৬/৭ মাস
হয়েছে সাগর দ্বিতীয় বিয়ে করে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদে
অভিযোগ দেই।
বর্তমানে রাবেয়া আক্তার তার সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে আছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন রাবেয়া আক্তার।