অভিজিত রায় ॥
সধবা নারীদের সীদুর উৎসব ও দেবী চরনে পুস্পাঞ্জলীর মদ্য দিয়ে বিদায় জানালো মহামায়া দেবী দুর্গা কে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শরৎকালের অকাল বোধনের শারদীয় দুর্গা পূজার সকল কার্যক্রম বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এ বছর দেবী দুর্গা দোলায় চরে প্রস্থান করেছেন। গত ১৮ অক্টোবর দেবী দুর্গা ঘোটকে আগমন করেন। শুল্কা পঞ্চমী বিহিত পূজার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ২১ অক্টোবর বুধবার দুর্গা পূজার মহাঅষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবমী ও দশমী পূজা একই দিনে হয়েছে। দশমী পূজার মাধ্যমে দুর্গা পূজার সকল কার্যক্রম শেষ হয়। গত ২ বছর ধরে বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে তিথির পরিবর্তনে একই দিন দুটি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় পূজা উদ্যাপন কমিটির সিদ্ধান্ত মতে দেশব্যাপী শুক্রবার বিজয়া দশমী পালন করা হয়।
শুক্রবার চাঁদপুর শহরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মতে বিকেল ৫টার পর স্ব স্ব পূজা মন্ডপ থেকে ট্রাক ও রিক্সা ভ্যানযোগে দুর্গা ও অন্যান্য প্রতিমার বহর নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। কালীবাড়ি মন্দির, নতুনবাজার পালপাড়া, ঘোষপাড়া, প্রদীপ গুহ বাড়ি, পোগল জিউর আখড়া, হরিজন পল্লী বড় স্টেশনসহ ৫/৭টি প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। রাত ৮টায় শহর প্রদক্ষিণ শেষে মুখার্জি ঘাট এলাকার ডাকাতিয়া নদীতে বির্সজনের জন্যে প্রতিমা নিয়ে যায়। শোভাযাত্রা দেখতে শহরের প্রধান প্রধান মোড়ে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ সকল বয়ষের মানুষ ভীর করে দেবীমাকে শেষ বাড়ের মতো ভক্তি জানাতে। ভক্তগণ দুর্গাসহ সকল দেবতার প্রতিমা ডাকাতিয়া নদীতে বির্সজনের মাধ্যমে বিদায় জানায়। নদীতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্যে প্রশাসনিকভাবে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও নৌ ফায়ার স্টেশন সদস্যরা নদীতে অবস্থান নেয় দুপুর থেকে। রাত ১০টা পর্যন্ত মুখার্জি ঘাটে চলে বির্সজনের কাজ। শোভাযাত্রা চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাবেক সভাপতি জীবন কানাই চক্রবর্তী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র রায়, বর্তমান আহ্বায়ক প্রফেসর রনজিত কুমার বণিক, সদস্য সচিব রাধা গোবিন্দ ঘোষ, সন্তোষ কুমার দাস, অজয় কুমার ভৌমিক, তমাল ঘোষ, বিবি দাস, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিনয় ভূষন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, সদর থানা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুশীল সাহা, যুগ্ম সম্পাদক প্রকাশ পালসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপের কর্মকর্তা। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুর রহমান, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ, সার্জন নাইয়ানসহ ট্রাফিক ও মডেল থানার পুলিশ। তবে এ বছর বিসর্জন চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।