মনিরুজ্জামান বাবলু
দীর্ঘদিন প্রেম। প্রেমিকার বিয়ের প্রস্তাব। প্রেমিকের বচন মা-বাবার পছন্দ করতে হবে। এবার প্রতিশোধ নিতে প্রেমিকার ফাঁদ। ঠিক করলেন ভাড়াটে সন্ত্রাসী। মোবাইলে ডেকে আনা হলো প্রেমিককে। দিলেন ষোলকলা। যার বিপরীত নাম গণধোলাই। সেই প্রেমিক এখন হাসপাতালে কাঁতরাচ্ছেন।
হতবাগা প্রেমিক লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার মৃত রুহুলআমিন মিয়ার ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবির সাগর। আর পারদর্শী প্রেমিকা হলেন চাঁদপুরের হাইমচর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন মোঃ আলী আশ্ররাফ মিয়ার কাজের মেয়ে পান্না আক্তার।
ঘটনাটি বুধবার হাইমচর সরকারী বালিকা হাইস্কুল সংলগ্ন আলী আশ্ররাফ মাষ্টারের বাড়ীতে ঘটে।
শুধু গনধোলাই নয়, সাথে থাকা ৪১ হাজার ৬’শ টাকাও ছিনিয়ে নিয়েছে বলে প্রেমিক সাগর জানান। পরে স্থানীয়রা সাগরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করায়।
এলাকাবাসী জানান, হুমায়ুন কবির সাগরের সাথে হাইমচরের মহজমপুর গ্রামের মোঃ সলেমান জমাদারের মেয়ে রুজিনার সাথে মোবাইলে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাগর ও রুজিনার সম্পর্ক ফাঁস হয়। এর মাঝে সাগর রুজিনাকে টাকা পয়সা বিভিন্ন উপহার দিতে শুরু করে এবং মাঝে মধ্যে রুজিনাদের বাড়িতে আসতে লাগলো। রুজিনাদের বাড়িতে আসা যাওয়ার পথে পাশের বাড়ির বিল্লাল তালুকদারের মেয়ে পান্নার সাথে ২য় প্রেম শুরু করে। পান্নার সাথে সাগরের প্রেম জমে উঠে। পান্নার যে বাড়িতে কাজ করে তার বাড়িতে নিজের বাড়ি পরিচয় দিয়ে বাড়ির মালিক আলি আশ্ররাফ মাষ্টারকে বাবা বানিয়ে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মোট অংকের টাকা ও বিভিন্ন ধরনের উপহার নিয়ে যেতেন।
প্রেমিকা পান্না জানান, সাগরকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার বাবা মায়ের পছন্দের কথা বলে এড়িয়ে যায়। মারধরের বিষয়টি আমি জানি না।
এই ব্যাপারে চিকিৎসারত সাগর জানান, আমাকে জরুরি ভিত্তিতে পান্না আসতে বলে। তাই আমি এসেছি। এই সুযোগে লোকজন আমাকে মেরে আমার কাছে থাকা ৪১৬০০ টাকা ও মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
তবে এ ব্যাপারে কোন পক্ষই আইনের আশ্রয় নেয়নি।