শওকত আলী:
চাঁদপুরের পার্শ^বর্তী এলাকায় এক বিয়ে বাড়িতে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায়, উত্ত্যক্তকারীদের হামলায় শিশু ও স্থানীয় মেম্বারসহ ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এদের মধ্যে মারাত্বক আহত ৬জনকে চাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩০ জুন দুপুরে শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার নরসিংহপুর গ্রামের ফরাজী বাড়িতে। শুক্রবার বিকেলে মারাত্বক আহত ৬ জনকে ফরাজী বাড়ির বিল্লাল ফরাজীর স্ত্রী মমতাজ বেগম (৩৬), তার পুত্র আমির ফরাজী (১৫), শিশুকন্যা ফাতেমা আক্তার (১১) নেছার খানের ছেলে আল আমিন (১৬), রাসেল (১৬) ও স্থানীয় মেম্বার ও ছিদ্দিকুর রহমান (৪০) কে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা আহতরা জানান, শুক্রবার নরসিংহপুর গ্রামের ফরাজী বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বিয়ে বাড়িতে কনে পক্ষের দাওয়াতী মেহেমানদের সাথে বেড়াতে আসা নারীদের সাথে পাশ্ববর্তী বাড়ির কয়েকজন যুবক ওই নারীদেরকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে। তারা তাদেরকে উত্ত্যক্ত না করার জন্য নিষেধ করলে উত্ত্যক্তকারী নুরু সরদারের ছেলে জহির সরদার, জসীম সরদার, আনোয়ার সরদার, নুর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে বশির সরদার, নাছির সরদার এবং বশির সরদারের ছেলে রশিদ সরদার ও রফিক সরদার দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের উপর এ হামলা চালায়। হামলাকারীদের এলো পাতাড়ি আক্রমনে লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে কমপক্ষে ১৫ জন নারী,পুরুষ ও শিশু আহত হয়। হামলার সময় স্থানীয় মেম্বার ছিদ্দিকুর রহমান তাদের ছাড়াতে গেলে হামলাকারীরা তার উপরেও হামলা চালিয়ে তাকে ও মারাতক্ব ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তারা মেম্বারের সাথে থাকা নগদ ১৮ হাজার টাকা, মোবাইল সেট ও বিদেশী লাইট নিয়ে যায় বলে মেম্বার ছিদ্দিকুর রহমান জানান। এ ব্যাপারে মামলা প্রস্তুতি চলছে বলে আহতদের লোকজন জানায়।