চাঁদপুর পৌরসভাধীন পুরাণবাজার রঘুনাথপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে জ-১নং কক্ষে রাতের আধাঁরে বেয়াইনের সাথে আপকর্ম করার সময় স্থানিয় জনতা কতৃক হাতে নাতে আটক হয়ে জুতা পেটা খেলেন বিল্লাল বেপারী নামের এক লম্পট বেয়াই। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩১মার্চ মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথপুর আশ্রয়ন কেন্দ্রে। ছোট ভাইয়ের অপকর্মের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার বড় ভাই চাঁদপুর পৌর ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল প্রার্থী রঘুনাথপুরের দুলাল বেপারী চেষ্টা চালিয়ে যায়।
ঘটনার বিবরণিতে জনা যায়, পৌর ৫নং ওয়ার্ড ভাঙ্গাপুল এলাকার বেপারী বাড়ির পরাজিত কাউন্সিলর প্রর্থীর (ব্লাক বোর্ড মার্কা) ছোট ভাই বিল্লাল বেপারীর ছেলে এমরানের সাথে কোড়ালিয়া রোড়ের মৃত নাছিরের মেয়ে তৃষার সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছেলের শাশুরী নাজমা বেগম নাজুকে বেয়াই বিল্লাল বেপারী রঘুনাথপুর আশ্রয়ন কেন্দ্রে জি-১নং ঘরটি বরদ্ধ পাইয়ে দেয়। তার পর থেকেই শুরু হয় বেয়াইনের সাথে বেয়াই দুলাল বেপারীর পরকীয়া প্রেম। সে প্রতিদিন রাতেই কোনো না কোনো সময় বেয়াইনের ঘরে রাত্রি যাপন করতো। ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাত ১২টায় লম্পট বিল্লাল বেপারী (৪০) সুযোগ বুজে বেয়াইন নাজমা বেগমের ঘরে ঢুকে পরে। এসময় স্থানিয় যুবকরা দোকানে বসে থাকা অবস্থায় বিষয়টি দেখতে পায়। পরে তারা পাহারা দিয়ে ঘরের ভিতরে আলো নিভানো অবস্থায় তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে। এই আপকর্মের ঘটনাটি জানতে পেরে এলাকার শতশত নারী-পুরুষ এসে ভীর জমায়। রাত ১টায় রঘুনাথপুর আশ্রয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন গাজীসহ স্থানিয় শালিশিগন উপস্থিত হয়ে তাদের বিচার করে। বেয়াইন নাজমা বেগম নাজু ও বেয়াই বিল্লাল বেপারী অপকর্মের কথা শিকার করে। পরে সবার সম্মুতি ক্রমে লম্পট বিল্লাল বেপারীর গালে ৫০টি জুতার বাড়ি দেয়া হয়। এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন জাবত বেয়াইনের বাড়িতে বেয়াই বিল্লাল বেপারী রাতে যাতায়েত করতো। দুজনের মধুর মিলনের ঘটনা জানতে পের ঘটনার দিন এলাকার যুবকরা তাকে রাত ১২ টায় বেয়াইনের ঘর থেকে তাকে হাতে নাতে আটক করে। স্থানিয় শালিশিরা বিল্লাল বেপারীকে ৫০টি জুতার বারি দিয়ে অবশেষে তার ভাতিজা সুমনের হাতে তুলে দেয়। পরে বেয়াইনের ঘরটি তালা মেরে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। বিল্লাল বেপারীর ছেলে এমরান জানায়, তার শাশুরী নাজমা বেগম নাজু স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক পুরুষের সাথে অপর্ক করেছে। অবশেষে আমার পিতার সাথে এই কাজ করে।
এই ঘটানা ধামাচাপা দেয়ার জন্য এই প্রতিবেদকের মোবাইল নাম্বারে পৌর নির্বাচনে সদ্য পরাজিত কাউন্সিল প্রার্থী দুলাল বেপারী সংবাদ প্রচার না করার জন্য ফোন করে হুমকি দেয়। এর কিছুক্ষন পর দুলাল বেপারীর ছেলে সুমন বেপারী চাচার অপকর্মের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত কররা জন্য ফোন করে চেষ্টা চালায়।