চাঁদপুর সংবাদদাতা ॥ চাঁদপুরে ঢাকা-হুলারহাট ও ভান্ডারিয়ার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি অভিযান-৭ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ চাঁদপুরের ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারনা করে ৬লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেওয়া ও ব্যবসায়ীদের অন্যান্য ক্ষতিপূরনসহ ১০লক্ষ টাকার দাবীতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযান-৭ লঞ্চটিকে আটক করে রাখে। গতকাল শনিবার রাতে কয়েক দফা দেন-দরবারের পরে সরকার দলীয় উচ্চ মহল ও লঞ্চ মালিক সংগঠনের নেতাদের ব্যাপক অনুরোধে ব্যবসায়ীরা তাদের সন্মান রক্ষা করতে গিয়ে অবশেষে ক্ষতিপূরন ৩লক্ষ টাকার দিয়ে লঞ্চটিকে মুক্ত করে নিয়েছেন লঞ্চ মালিক হামজালাল শেখ। এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন,চাঁদপুেেরর ব্যবসায়ী নেতারা ও লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি মো: রুহুল আমিন হাওলাদার। এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান,তারা কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য ৬লক্ষ ২০হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে লঞ্চটি কন্টাকের মাধ্যমে ভাড়া করে। চাঁদপুর শহরের ঐহিত্যবাহী ব্যবসা কেন্দ্র রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের প্রায় ৫‘শতাধিক ব্যবসায়ী আনন্দ ভ্রমণে কুয়াকাটা যাওয়া হলোনা। তারা কুয়াকাটা যাওয়ার পথে লঞ্চ মাস্টারের খামখেয়ালী পনায় বরিশালের বোরহান উদ্দিন এলাকার কাচিয়ার চরে ৫শতাধিক যাত্রীসহ লঞ্চটি উঠিয়ে দেয়। এতে করে যাত্রীরা আটকা পড়ে ৪৮ ঘণ্টা অমানবিক জীবন-যাপনের পর ঐ এলাকার পুলিশের সহায়তায় ২দিন চরে আটকে থাকার পর গতকাল বিকেলে চাঁদপুরে ফিরে এসেছে। যাত্রীবাহী লঞ্চ এম.ভি অভিযান-৭ লঞ্চটিকে ব্যবসায়ীরা চাঁদপুর এনে ২৫লক্ষ টাকা ক্ষতিপূনের দাবীতে আটক করে। পরে ১০লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্বান্তে উপনিত হয়। চাঁদপুরের নৌ-পুলিশ খবর পেয়ে লঞ্চটিতে প্রহরায় জোরদার করেছে। জানা যায়, চাঁদপুর শহরের ঐহিত্যবাহী ব্যবসা কেন্দ্র রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের ৪‘শ ৩৮জন ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার-পরিজনসহ প্রায় ৫‘শতাধিক যাত্রী নিয়ে ব্যবসায়ীরা আনন্দ ভ্রমণে কুয়াকাটা যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদপুর থেকে লঞ্চ এম.ভি অভিযান-৭ যোগে যাত্রা করে। পথিমধ্যে বরিশালের বোরহান উদ্দিন এলাকায় গেলে অযোগ্য মাস্টারের খামখেয়ালীপনার কারণে কাচিয়ার চরে লঞ্চটি উঠিয়ে দেয়। সেখানে ৪৮ঘণ্টা অন্ধ্যাকারে ও পানি সমস্যার মধ্যে ব্যবসায়ীরা আটকা পড়ে মারাত্বক ভাবে দুর্ভোগ ও আতংকের মধ্যে কাটাতে হযেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। তারা জানান,যে জায়গায় লঞ্চটি আটকা পরে সেখানে প্রায় বড় ধরনের ডাকাতি হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ লঞ্চ মালিক তাদের সাথে কুয়াকাটা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি যাননি। লক্ষটি আটকা পড়ার লঞ্চ মালিক হাম জালালকে বহু বার ফোন করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। তার ঢাকা অফিস থেকে বিকল্প লঞ্চ পাঠাবে বলেও লঞ্চ পাঠায়নি। ৪৮ ঘন্টা পরে জোয়ারের পানির তোরে লঞ্চটি শুক্রবার ভোররাতে ছুটে গেলে ব্যবসায়ীরা লঞ্চটিকে নদীর মাঝ খানে নোঙ্গর করে রাখে। পরে পূনরায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে চাঁদপুরে পৌঁছে। যাত্রীরা লঞ্চটিকে চাঁদপুর শহরের মুখার্জী ঘাট এলাকায় আটক করে রাখে। পরে নৌ-পুলিশ খবর পেয়ে লঞ্চটিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য লঞ্চে প্রহরার ব্যবস্থা করে।
এ ব্যাপারে লঞ্চের মাস্টার মো: ইউনুছ জানান,লঞ্চটি কুয়াশার কারনে পথ ভুলে বোরহাউদ্দিন এলাকার দেউলার চরে শুক্রবার ভোর রাত ৫টা২৩ মিনিটে লঞ্চ উঠে যায়। লঞ্চ ভাড়া নেওয়া ব্যবসায়ীরা মাস্টার মো: ইউনুছ ও সুকানী মো: শহীদুল্লাকে মাস্টার ব্রীজে এসে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও ঘালে আঘাত করেছে। এ ব্যাপারে চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু জানান,লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে অগ্রিম ৬লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার পর তাদের ৫শতাধিক যাত্রীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। মালিক আমাদের সাথে না গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আমাদের সাথে কন্টাক করেছে,কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য কিন্তু কুয়াকাটা তাদের অনুমতি না থাকায় তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। যেখানে আমাদের লঞ্চ আটকা পড়েছে সেস্থানটি ডাকাতের এলাকা। পুলিশি সহায়তা ন পেলে আমাদের লঞ্চে ডাকাতি হলে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হতো ব্যবসায়ীদের।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ