প্রতিনিধি
হাইমচর উপজেলার ২নং আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের বেশ কিছু কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই, জোর করে বুথে প্রবেশ করে নিজ প্রার্থীর পক্ষে সীলমারাসহ অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে সরকার সমর্থক লোকজন। এসব কারণে অনেক কেন্দ্রেই প্রশাসনের লোকদের দেখা গেলেও ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটা দেখা যায় নি।
সকাল সাড়ে ৯টার সময় ২নং উত্তর আলগী ইউনিয়নের নয়ানী লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি কেন্দ্রের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কজন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। তাদের সামনে দিয়ে সাংবাদিকদের একটি মোটর সাইকেল যাওয়ার সময় সেটাতে তারা হামলার চেষ্টা চালায়। তারা এ সময় কেন্দ্রের সামনে থাকা বেশ কটি দোকান ভাংচুর করে।
সকাল ৮টায় উত্তর আলগী রশিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। এ কেন্দ্রের ৩টি বুথের ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৩শ’ ১১ জন। ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন হাইমচর উপজেলার একটি বাড়ি একটি খামাড়ের কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান।
সকাল সাড়ে ৮টার সময় ১৪নং পশ্চিম চরকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন পোলিং অফিসারদের কাছ থেকে জোর করে ব্যালট পেপার নিয়ে বুথের ভেতরে প্রবেশ করে সীল মারছেন। তখন বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম শফিক গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সরকার দলীয় লোকজন তার ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন হাইমচর কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক অনুপ কুমার সাহা। তিনি জানান, ভোট শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যেই ৫শ’ ব্যালট পেপার জোর করে নিয়ে গেছে কয়েকজন যুবক। এক পর্যায়ে তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্যে তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান তাকে একটু সহযোগিতার করার জন্যে।
সকাল ৯টায় একই ইউনিয়নের খুদিয়া বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পুরো কেন্দ্র ফাঁকা। কেন্দ্রের ভেতর গিয়ে জানা যায় ২নং বুথের ব্যালট পেপার ও সিলগুলো জোর করে নিয়ে গেছে নৌকার কর্মীরা। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার চরভৈরবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান সকলের সামনেই বসে সিগারেট টানছেন আর বলছেন কি ডিউটিতে আসলাম, আমাদের ব্যালট পেপার তো নিয়া গেছে। বেলা ১০টা পর্যন্ত এ ইউনিয়নের বেশ কটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।