শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
মতলব উত্তর উপজেলার ১০নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের লুধুয়া-নান্দুর কান্দি সংযোগ সড়কে ২০১০ সালে নির্মিত হয়েছে পাকা ব্রীজ। এই ব্রীজ থাকা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকোঁ দিয়েই যাতায়াত করছে হাজারো মানুষ। বাধ্য হয়েই লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র/ছাত্রী, কৃষক-শ্রমিক ও সাধারন পথচারী এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়তই যাতায়াত করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রী, কৃষক-শ্রমিক ও সাধারন পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই বাঁশের সাকোঁ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ব্রীজের দুই পাশে অ্যাপ্রোজ সড়ক না থাকায় বাশোঁর সাকোঁ দিয়ে যাতায়াত করেই জীবনের চাকা ঘুরাচ্ছেন লুধুয়া, নান্দুরকান্দি ও ফরিদকান্দিসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন। কয়েক গ্রামের সাথে যোগাযোগের সহজ পথ হল এই সড়কটি । লুধুয়া স্কুল ও কলেজে প্রতিদিন অনেক ছাত্র-ছাত্রী এই রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় র্দীঘ অর্ধযুগ আগে ব্রীজের কাজ সম্পন্ন হলেও ব্রীজে উঠার জন্য দুই পাশের সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। যার ফলে অত্র এলাকার যাতায়াতের যেমনি দুর্ভোগ পোহাতে হয় তেমনি স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের আসা যাওয়ার জন্য ভোগান্তি হতে হয় প্রতিনিয়ত। ব্রীজের সংযোগ স্থলে নির্মিত দীর্ঘ ২০০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো প্রায় সময়ই ভেঙ্গে যায়। তখন স্কুল ও কলেজের নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয়।
একাধিক পথচারীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, ২০১০ সালে নির্মিত হয়েছে উক্ত ব্রীজটি। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেও কোন কাজে আসছে না ব্রীজটি। তাদের মন্তব্য এমন ব্রীজের দরকার কি? যে ব্রীজ থাকা সত্ত্বেও বাঁশের সাকোঁ দিয়ে চলাচল করতে হয়। এই ব্রীজটি দুই পাশে অ্যাপ্রোজ সড়ক নির্মাণ করে স্থানীয়দের ঝুঁকিমুক্ত যাতায়াত ব্যবস্থায় নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ অচিরেই এগিয়ে এসে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের অভিমত।