প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
:সাম্প্রতিকালে সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশেও স্তন ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা ক্রমাবর্ধমান লক্ষনীয়। ভারত উপমহাদেশে প্রতি বছর আশি থেকে এক লাক মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করতে পারলে আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে স্তন ক্যান্সারকে অনেক ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ আয়ত্তের মধ্যে আনা যায়। সাধারণত এ রোগ চল্লিশোর্ধে মহিলাদের বেশি দেখা যায়। নিঃসন্তান মহিলা বা যে মহিলারা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান না বা খাওয়াতে অক্ষম তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওযার সম্ভাবনা সাধারণের তুলনায় অনেক বেশি। একথা এখন সর্বজন স্বীকৃত যে, ব্রেষ্ট ক্যান্সারের একটা জেনেটিক (এবহবঃরপ) ভিত্তি আছে। পরিবারের কোনও মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে তাদের মা, বোন অথবা মেয়ের (ঋরৎংঃ উবমৎবব জবষধঃরাব) স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ২২%-৩৩% বেড়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ৮টি ব্রেষ্ট ক্যান্সার জিন (এবহব) আবিষ্কৃত , এদের মধ্যে ইজঈঅ-১ ্ ইজঈঅ-২ ই উল্লেখযোগ্য।
ক্যান্সারের লক্ষণঃ স্তন ক্যান্সারের রোগীর সাধারণত বুকে চাকা অথবা গাঁট (খঁসঢ়) অনুভব করেন। অনেক ক্ষেত্রে নিপল্ থেকে লাল রংঙ্গের রস অথবা রক্ত জাতীয় পদার্থ বাহির হয়। এ জাতিয় সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন অনেকে। যারা এই উপসর্গগুলো উপেক্ষা করেন বা ভয়ে, লজ্জায় চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে বগলের তলায় চাকা অথবা স্তনের ওপর চামড়ায় কোঁচকানো লক্ষণ করা যায় । এক্ষেত্রে বুঝে নিতে হয় যে রোগটা অনেক দূর এগিয়েছে, একথা অনস্বীকার্য যে, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ৮০%-৮৫% রোগীকে চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য করা সম্ভব। আর প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ার জন্যে রোগীকে নিজের শরীর নিজেকেই পরীক্ষা করে দেখতে হবে। একমাত্র এই পদ্ধতিতেই দেখা গেছে যে স্তনের ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে এবং রোগীর চিকিৎসায় ফল আশানুরূপ পাওয়া যায়। চল্লিশোর্ধ মহিলা, বিশেষতঃ যাদের পরিবারে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী আছে, তাঁদের উচিত নিয়মিত গধসসড়মৎধস করানো। যার ফলে ব্রেষ্টে গাট হওয়ার অনেক আগেই ক্যান্সার নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু প্রয়োজন। বলা বাহুল্য এ সমস্ত ক্ষেত্রে চিকিৎসার ফলও অনেক ভাল হয়। নিজেকে পরীক্ষা করার আগে যেটা মনে রাখতে হবে, ঋতুচক্রের বিভিন্ন সময়ে স্তনের গঠন ও আক্রিতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। যাদের ঋতুচক্র নিয়মিত তাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের কয়েকদিন আগে বুকের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে বগলের কাছে সামান্য ফোলা ও ব্যথা অনুভব হয়।
কখন নিজেকে পরীক্ষা করবেন ঃ
মাসে একবার ঋতুস্রাবের এক সপ্তাহ পরে, সাধারণত গোছল করার সময় বা জামাকাপড় পরার সময় এই পরীক্ষা করা বাঞ্চনীয়।
কিভাবে স্তন পরীক্ষা করবেন ?
১। আয়নার সামনে দুপাশে হাত রেখে দাঁড়ান। দু দিকের স্তনের মধ্যে কোনও অসামঞ্জস্য আছে কিনা লক্ষ্য করুন। এবার দু’হাত ওপরে তুলুন-মাথার পাশে রাখুন। দেখুন দু’দিকে কোন অসামঞ্জস্য আছে কিনা ?
২। হাতের চেটো দিয়ে প্রথমে এক দিকের স্তন ও পরে অন্য দিকের স্তন পরীক্ষা করুন। কোন প্রকার চাকা বা ফোলা আছে কিনা লক্ষ্য করুন।
৩। এবার দেখুন নিপল এর কোন পরিবর্তন হয়েছে কিনা। যদি দেখা যায় একটি নিপল্ ভেতরে দিকে ঢুকে যাচ্ছে অথবা যদি নিপল্ এর পাশে কোন ঘা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাহলে সত্বর চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
নিপল্ থেকে কোন প্রকার “ডিসচার্জ” লক্ষ্য করলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেহেুতু সহজেই স্তনে চাকা অনুভব করা যায়, তাই শরীরের অন্যান্য অংশের ক্যান্সারের তুলনসায় ব্রেষ্ট ক্যান্সারের চিকিৎসার ফল আশাপ্রদ।
হোমিও প্যাথিক চিকিৎসায় ব্রেষ্ট টিউমার ও ব্রেষ্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্ভব। যদি লক্ষণ সাদৃশ্য সঠিক ঔষধ নির্বাচন করা হয় তবে সহজে অরোগ্য সম্ভব। রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, রোগের কারণ, দুঃখ-কষ্ট, মানসিক চাপ বিবেচনা করে ঔষধ দিলে অরোগ্য সহজতর হয়।
ব্রেষ্ট ক্যান্সার এবং ব্রেষ্ট টিউমার চিকিৎসায় সাধারণত যে সকল ওষধ ব্যবহার হয় যেমন-কনিয়াম, পাইটোলক্কা, সিপিয়া, পালস ইত্যাদি।
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435 // 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com