চাঁদপুর : মেঘনার ভাঙনের মুখে রয়েছে চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট। কয়েক দিনের ভাঙনে ফেরিঘাটের আশপাশে শতাধিক স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে লোকজন তাদের দোকানপাটসহ অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। চলতি বর্ষায় এমন ভয়াবহ ভাঙনে ফেরিঘাটের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, বরিশাল, যশোর, খুলনা, বাগেরহাটসহ বেশ কয়েকটি জেলায় চাঁদপুর থেকে অল্প সময়ে যাতায়াতের জন্য হরিণা ফেরিঘাটটি চালক ও যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয়। একই সঙ্গে প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে মংলা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত শত শত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে। সম্প্রতি মেঘনার ভাঙন বেড়ে যাওয়ায় হরিণা ফেরিঘাট বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুই বছর ধরে মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে অনেকবার ফেরিঘাটটি স্থানান্তর করতে হয়েছে। কিন্তু ফেরিঘাটসহ আশপাশের এক কিলোমিটারজুড়ে মেঘনা নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকলেও তা বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। অথচ ফেরিঘাটের ভাঙনস্থলে তিন মাস আগে নৌপরিবহনমন্ত্রী এবং এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু ভাঙন রোধে তাদের প্রতিশ্রুতি থাকলেও সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জীবন কৃষ্ণ দাস জানান, ভাঙনকবলিত এক হাজার মিটার এলাকা রক্ষায় একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য ৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে পাস না হওয়ায় ভাঙন রোধে এই মুহূর্তে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙন থেকে হরিণা ফেরিঘাট ও আশপাশের এলাকা দ্রুত রক্ষার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।