মনিরুজ্জামান বাবলু ও এনায়েত মজুমদার
ভাবী-বেয়াইনের হাতে দেবর শাহাদাত হোসেন খুন হয়েছে। হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় স্বর্ণকলি স্কুলের পিছনের তালুকদার বাড়ীর মাঈনুদ্দিনের স্ত্রী ও দুই শালীর হাতে খুন হয় ভাই শাহাদাত হোসেন (২০)। সে বুধবার ভোর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে খুনীদের গ্রেফতারের দাবীতে সকাল থেকে ৩ ঘন্টা চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কে অবোরধ করে রাখে এলাকাবসী। এছাড়া উত্তেজিত এলাকাবাসী খুনি দুই বোনের বসতঘর ভাংচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নিহত শাহাদাত টোরাগড় স্বর্ণকলি স্কুলের পিছনের তালুকদার বাড়ীর আবদুর রবের চতুর্থ ছেলে। তারই তৃতীয় ছেলে মাঈনুদ্দীনের স্ত্রী মিনু বেগম (২৬) ও শালিকা লিপি বেগম (৩০) ও কেয়া আক্তার (১৯) এর হাতে শনিবার সন্ধ্যায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় শাহাদাত।
ঘটনার বিবণীতে জানা গেছে, প্রবাসী মাঈনুদ্দীনের স্ত্রী মিনু বেগম শ্বশুর-শ্বাশুড়ী ও দেবর বরণ পোষণসহ ঘরে প্রবেশ করতে বারণ করে। এতে দেবর শাহাদাত শনিবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েই তিন বোনের হাতে প্রাণ হারাতে হয়।
নিহত শাহাদাতের চাচাতো বোন ফরিদা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার মাগরিবের আযানের পরপর দুই বোন মিনু বেগম ও লিপি বেগম শাহাদাতের দুই হাতে ধরে রাখেন। আর ছোট বোন কেয়া ঘর থেকে ছুরি এনে শাহাদাতের বুকে আঘাত করে।
একই বাড়ীর মিন্টু বলেন, এই তিন বোন বাচ্চু রাজাকারের মেয়ে। তাদের উচ্ছৃংখল চলাফেরার জন্য এলাকায় একাধিকবার শালীসী বৈঠক হয়েছে। তাদের নেপথ্যে ইন্ধন দিয়ে আসছেন এলাকার বতু মিজি, আজাদ সরকার ও জামাল। শাহাদাতকে ছুরিকাঘাত করার পর তিন বোনকে আটক রাখে বাড়ীর লোকজন । বতু মিজির পরামর্শে তখন জামাল এসে সাদা কাগজে ঘটনা স্বীকার করে তাদের স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়। এখন খুনিরা পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে নিহত শাহাদাতের বাবা আবদুর রব বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় তিন বোনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এইচ এম মাহমুদ বলেন, খুনিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করে হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহআলম বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে সড়ক অবরোধ তুলে দেয়া হয়েছে।