ফাহিম শাহরিণ কৌশিক খান =
চাঁদপুরে ভারতীয় অসংখ্য গরু বর্ডার অতিক্রম করে হাটগুলোতে আসায় দেশীয় গরুর দাম অনেকাংশে কমে যাওয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির হাটগুলো। জাল টাকা চিহ্নিত করার লক্ষে কিছুসংখ্যক হাটে জাল টাকার মেশিন ও গরু ব্যবসায়ীরা নিরাপদে টাকা পাঠানোর জন্য মোবাইল ব্যাংক বিকাশ-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ৩ দিন পূর্বে চাঁদপুরের হাটগুলোতে ব্যবসায়ীরা গরু আনতে শুরু করায় হাটগুলো জমে উঠেছে। ১৬ অক্টোবর সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের সর্বত্র উদ্যাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা অর্থ্যাৎ, কোরবানির ঈদ। এবার হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা ও মুসলমানদের ঈদ কাছাকাছি সময় হওয়ায় ঈদকে ঘিরে চাঁদপুর শহর এলাকায় কোরবানির পশুরহাট গত ১২ অক্টোবর শনিবার তেমন মিলতে দেখা যায়নি। তবে শহরের আশপাশে এবং জেলার উপজেলাসমূহের পশুর হাটগুলো বেশ জমে উঠতে শুরু করেছে। পশুর হাটে বিক্রির জন্য গরু আসা থেমে নেই। সড়ক ও নৌ-পথে এবার প্রচুর পরিমাণ গরু-ছাগল দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে পশুর হাটে বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। যেসব এলাকায় এখনো হাট বসেনি, সেখানকার গরু বিক্রেতারা আশপাশে গরু রেখে তা পরিচর্যা চালিয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুরের উল্লেখযোগ্য গরুর হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে, হাজিগঞ্জ বাকিলা বাজার, হাইমচরের আলগী, চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট, বাগাদী চৌরাস্তা, সফরমালী, রঘুনাথপুর, দোকানঘর, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর, চান্দ্রা, বালিয়া। চাঁদপুর শহর এলাকার মধ্যে প্রসিদ্ধ কোরবানীর হাট পুরাণবাজার ওসমানিয়া মাদ্রাসা মাঠ ও বাসস্ট্যান্ড ¯¦র্ণখোলা মাঠ। এছাড়া কচুয়া, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ উপজেলার হাট বাজারে এবং ইউনিয়ন এলাকায় কোরবানির পশুর হাট অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো বসেছে। পশুর হাটের আয়োজকরা বিক্রেতাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রেখেছেন।
সরজমিনে গত শনিবার বিকেলে বাগাদী চৌরাস্তা গরুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, গতবারের ন্যায় এ বছরও কয়েক হাজার গরু ব্যবসায়ীরা এ হাটে বিক্রির জন্য এসেছে। চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে কোরবানি দেবার জন্য বাগাদী গরুর হাট থেকে কম দামে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এ হাটে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বিশেষ করে জাল টাকা নির্ণয়ের জন্য আধুনিক মেশিন এ হাটে আনা হয়েছে। গরু ব্যবসায়ীদের টাকা নিরাপদে পাঠানোর জন্য মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকাশের মাধ্যমে তারা গরু বিক্রির টাকা খুব সহজে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বাগাদী গরু হাটের ইজারাদার মোঃ গিয়াস উদ্দিন নান্নু মিয়াজী জানায়, বাগাদী গরুর হাটে ইজারাদার যেটুকু সুযোগ সুবিধা দিয়েছে, তার চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা দেবার কারণে এ বছর পূর্বের চেয়েও বেশি গরু ব্যবসায়ীরা হাটে আনছে। গরু ব্যবসায়ীদের থাকার সুযোগ সুবিধা খুব সহজে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠানো ও জাল টাকা নির্ণয়ের মেশিন রাখার কারনে ক্রেতা ও বিক্রেতারা গরু এ হাটে আসছে। বিশেষ করে ফরিদপুর-মাদারীপুর, সখিপুর, চেয়ারম্যান ঘাটের চর ও বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দু’শ গরুর ব্যবসায়ীরা এসেছে। ভারতীয় গরু আসার কারণে দেশী গরুর দাম মোটামুটি কম। পুলিশ প্রশাসন গরু বিক্রির টাকা নিরাপদে গরু ব্যবসায়ীরা নিয়ে যেতে পারে তার জন্য চিহ্নিত পশুর হাটগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।