চাঁদপুর শহরের মঠখোলা গাজী বাড়ি থেকে ভিওআইপি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশে কল বিক্রির হোতা মনির হোসন গাজীকে পুলিশ আটক করে অবশেষে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। দীর্ঘদিন যাবত গোপনীয়ভাবে সরকারের ল ল টাকা রাজস্ব ফাকি দিয়ে এ ভিওআইপির ব্যবসা চালানোর পর চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফিরোজ আলম অবশেষে তাকে গ্রেফতার করতে সম হয়।
পুলিশ তার বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ভিওআইপির ব্যবসা পরিচালনার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ ও দুটি মডেম জব্দ করে নিয়ে আসে। জব্দকৃত ল্যাপটপ থেকে ভিওআইপির বেশ কিছু প্রমাণাদি ছবি সহ বিভিন্ন কু উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় মনির হোসেন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভিওআইপির ব্যবসায় ব্যবহৃত সিবি, কুইন্টাম, আইপিএস সরিয়ে ফেলে। রাতে অভিযান পরিচালনা কালে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পুলিশ ভিওআইপির মেশিনগুলো উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। ঘটনার দিন আটকৃত মনিরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য এলাকার কিছু দালালচক্র পুলিশকে ম্যানেজ করার চেষ্টা তদবির চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তার কাছ থেকে জব্দকৃত ল্যাপটটি অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান ও ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা পরীা করে বাকী তথ্য প্রামাণী সংগ্রহ করার পর সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহ মামলার দায়ের করা হবে বলে জানায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঠখোলার গাজী বাড়ির শাহজাহান গাজি ছেলে মনির হোসেন দীর্ঘদিন যাবত এই ভিওআইপির ব্যবসা চালিয়ে যায়। ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার খবর পেয়ে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপটি জব্দ করার পর মনির হোসেনকে গ্রেফতার করে। একটি সূত্রে জানায় সে ভিওআইপির মাধ্যমে ১০ মিনিট ১ ডলার বিদেশে ৩ টাকা মিনিট বিক্রি করে এর মধ্যে দেড় টাকা প্রতি মিনিটে লাভ করে। সরকারি ভাবে দেশবিদেশে মোবাইল ফোনে আসলে বিটিআরসি কল বুক হয়ে গ্রাহকদের কাছে প্রদান করা হয়। এতে করে প্রতি মিনিট ১০ থেকে ১৫ টাকা খরচ হয়। সরকারি রাজস্ব ফাকি দিয়ে চোরাইভাবে টেলিটক ও এয়ারটেল সহ বিভিন্ন সিমের মাধ্যমে ইন্টানেট ব্যবহার করে বিদেশে কল বিক্রি করে আসছে। পুলিশ চাঁদপুরে ব্যাপক অনুসন্ধান করলে এই রকম ভিওআইপির প্রতারক ব্যবসায়ীদের আটক করতে সম হবে।