চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
চাঁদপুরের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে (মামলা নং- ২১৫/১৪ খ্রিঃ) মামলার বাদীর স্থলে ভুয়া বাদী দাঁড় করিয়ে আসামী জামিনের ব্যবস্থা করার ঘটনায় চাঁদপুর আদালত অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আর এ কাণ্ডটি করেছেন স্বয়ং বাদী পক্ষের আইনজীবী নিজে। অভিযোগ রয়েছে আসামী পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা নিয়েছেন ওই আইনজীবী। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ দিকে আদালত বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে আসামীকে জামিন দিলেও পরে আবার জামিন না মঞ্জুর করে। ঘটনাটি ঘটে ২১ সেপ্টেম্বর রোববার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জের সাফুয়া গ্রামের শারমিন আক্তার পপি তার স্বামী অপু পাটওয়ারী, শ্বশুর আবুল খায়ের পাটওয়ারীসহ চারজনকে আসামী করে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মামলা দায়ের করেন। আসামী তিন জনের মধ্যে স্বামী অপু পাটওয়ারী ছাড়া অন্য তিনজন জামিনে রয়েছেন। এ দিকে অপু পাটওয়ারী প্রবাসী হওয়ায় ২৫ সেপ্টেম্বর তার পুনরায় বিদেশ যাওয়ার তারিখ। এ জন্য তার জামিন খুবই প্রয়োজন। এরই মধ্যে আসামী পক্ষ বাদী পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করে। তার সাথে গোপন আঁতাত করে গত ২১ সেপ্টেম্বর রোববার সুকৌশলে একজন নারীকে বাদী সাজিয়ে এজলাসে উঠিয়ে মামলায় আপোষ রফা হয়েছে বলে কাগজ দেখিয়ে ১নং আসামী অপু পাটওয়ারীর জামিন নেয়। এ খবর তাৎক্ষণিক বাদী পক্ষ জানতে পেরে আদালতে জামিননামা বাতিলের জন্যে আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উক্ত আসামীর জামিন বাতিল করে। এ ঘটনায় পুরো আদালত অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আইনজীবীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এ ব্যাপারে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আসামী পক্ষের সাথে কোনো ধরনের অর্থের লেনদেন বা গোপন আঁতাতের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাটি বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেই। যার ফলে আসামীর জামিন পুনরায় বাতিল হয়।