প্রতিনিধি
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের মঠখোলা নামক স্থানে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা বসেছিল। মেলার আশপাশেই বসেছিল জমজমাট জুয়ার আসর।
গতকাল ১৩ এপ্রিল সকাল থেকেই চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর এ চৈত্র সংক্রান্তির মেলা বসে। এ সড়কের দু’পাশে বাচ্চাদের খেলনা জাতীয়, খাবার সামগ্রীর অসংখ্য দোকানী তাদের পসড়া সাজিয়ে বসেছিল। মঠখোলা এলাকার ও আশপাশের এলাকার শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী ও বয়োজৈষ্ঠ্যরাও মেলায় তাদের পছন্দসই জিনিস কেনাকাটা করতে আসে। এ মেলাকে ঘিরেই মঠখোলা, ঠাকুরবাড়ি সড়ক ও পুলিশ লাইনের পেছনের অংশে বিভিন্ন বাগানে প্রায় অর্ধশতাধিক জুয়ার বোর্ড বসানো হয়। সকাল থেকেই কিশোর ও তরুণরা এ জুয়া খেলায় মেতে উঠে।
এসব জুয়ার বোর্ড বসিয়েছিল ৪০ থেকে ৬০ ঊর্ধ্ব বয়সের ব্যাক্তিরা। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ শুধুমাত্র মেলার আঙ্গীনায় বিচরণ করলেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব জুয়া খেলা চলতে থাকে। স্থানীয় ব্যাক্তিরা জানায়, চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ মঠখোলার রাস্তায় কর্তব্য পালন করলেও তাদের কাছে জুয়ার টাকা চলেই এসেছে। যার জন্য তারা জুয়ারীদের চেনেন না এমনভাবেই রয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাবুরহাট পুলিশ লাইনের কয়েক পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে জুয়ার বোর্ডের সামনে রিক্সা নিয়ে অবস্থান করেন। কিন্তু আইনের দৃষ্টি থেকে কোন বাধা দেননি। যার জন্য তাদের সামনেই এ খেলা চলতে থাকে। বিগত বছরের তুলনায় মঠখোলার চৈত্র সংক্রান্তির মেলায় দোকানের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এবছর বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রীর মধ্যে মাটির তৈরি পুতুলের পসড়া বেশি। তাছাড়া মেলা ঘুরে দেখা যায় ঐ এলকার মানুষজন এ মেলাকে শিব্বিরা বলে থাকেন। যার জন্য তারা জিলাপী আর মুড়ি, চিড়া, খই কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। ছোট বড় সববয়সীর হাতেই ছিল বিভিন্ন আকারের বাশির শব্দ। উঠতি বয়সী তরুণীরা চুড়ি, কানের দুল, ফিতা, টিপ, আলতা এসব কিনতে ব্যাস্ত সময় কাটায়। পূর্ব আকাশের সূর্য্য বিকেলে পশ্চিম আকাশে হেলে পড়লে মঠখোলার এ চৈত্র সংক্রান্তি মেলার সমাপ্তি ঘটে ।
শিরোনাম:
রবিবার , ৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।