মতলব প্রতিনিধি-
মতলব দৰিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের আধারা গ্রামে শাশুড়ি, ভাসুর, ননদ ও স্বামী রাবেয়া আক্তার (২১)কে যৌতুকের জন্য মারধর করেছে। গত ১৩ অক্টোবর সকালে এ ঘটনাটি ঘটে। ঐদিন রাবেয়া আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েভর্তি করা হয়।
আহত রাবেয়া আক্তার জানান, গত ৫ বছর পূর্বে ফারুকের সাথে তার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের একটি কন্যা সনত্দান হয়েছে। তার নাম মারিয়া সুলতানা (৩)। বিয়ের সময় তার বাবা ১ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ দেয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ফারুক, শাশুড়ি সাফিয়া খাতুন, ননদ আঁখি, ভাসুর কবিরের স্ত্রী মরিয়ম, ভাসুর ইসমাইল হোসেন ও কবির হোসেন তার উপর যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং মারধর করে। তারা বলে, তোর স্বামীকে (ফারুক) বিদেশ পাঠানোর জন্য ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। ঐ টাকা না আনা পর্যনত্দ নির্যাতন চলবে। পরবর্তীতে উপায়নত্দর না পেয়ে স্বামী ফারুককে বিদেশ পাঠানোর জন্য রাবেয়া তার পিতা-মাতার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা এনে তাকে বিদেশ পাঠায়। বিয়ের ১ বছর পর স্বামী বিদেশে চলে যায়। বিদেশ থেকে ৪ বছর পর গত ক’মাস পূর্বে দেশে ফিরে আসে। বিদেশ গিয়ে সে তার কোনো খোঁজ-খবর নেয় না। তার কন্যা সনত্দানের চিকিৎসার জন্যও কোনো খরচ দেয় না। স্বামী দেশে ফিরে এসে পুনরায় বিদেশ যাওয়ার জন্য তাকে তার পিতা মাতার কাছ থেকে টাকা এনে দিতে বলে। রাবেয়া অস্বীকৃতি জানালে শাশুড়ি, ভাসুর, ননদ ও স্বামী তার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। ঘটনার দিন ও তারিখে যৌতুকের টাকা এনে না দেয়ার কারণে তার নাকে, মুখে ও বুকে কিল ঘুষি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে তারা তাকে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েভর্তি করে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে রাবেয়ার স্বামী ফারুক ও ভাসুর ইসমাইল এবং কবিরের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তারা এ প্রতিনিধির সাথে অসৌজন্যমূলক কথা বলে ফোনটি কেটে দেয়।
এ ব্যাপারে আহত রাবেয়া আক্তার বাদী হয়ে মতলব দৰিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।