চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাজারগুলোতে করোনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে মতলবে চারজন করোনা রোগী শনাক্ত ও ২ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। তবুও এ এলাকার বাজার গুলোতে সামাজিক দুরুত্ব একেভারেই মানা হচ্ছে না। মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর,কালিপুর,বেলতলি,কালির বাজার,নিশ্চিন্তপুর, সুজাতপুর, দূর্গাপুর, নন্দলালপুর,ঠেডালিয়া,গজরা, আমিরাবাদ, নতুন বাজার, মোহনপুর ও মতলব দক্ষিন উপজেলার মতলব বাজার, নারায়নপুর,মুন্সিরহাট নায়েরগাঁও সহ সকল বাজারেরই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের ভিড় লেগে থাকে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব একেবারেই মানা হচ্ছে না। বাজারের ছোট ছোট গলিতে শত শত মানুষ একে অন্যের গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বাজার করছে। অনেকে বিনা প্রয়োজনেও বাজার ঘুরতে আসে। শহর থেকে আসা মানুষ গুলোর মধ্য এর প্রবনতা বেশি দেখা যায়। লকডাউনে রেখে বাজারগুলো এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন রাখার ফলে ঝুঁকি রাড়তেই থাকবে। বাজারে আসা ক্রেতারা মানছেন না সামাজিক দূরত্বের বিধি নিষেধ। অনেক বিক্রেতারও ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য নেই মুখে মাস্ক হাতে গ্লাভস। খালি হাতেই টাকা লেনদেন ও পণ্য দেয়া নেয়া চলছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে কোন ভাবেই এলাকার সাধারন মানুষকে নিরাপদে রাখা সম্ভব না। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ছাড়া এমন অবস্থা থেকে উত্তরন সম্ভব না। স্থানীয় কয়েকজন দোকানদারের সাথে কথাহলো তারা জানায়, ভাই দোকানদারী কইরাই আমগো জীবিকা। বন্ধ রাখলে আমগো চলবো কেমনে। শিক্ষক হুমায়ুন কবীর জানান, এখন পযর্šÍ এখানে বসবাস করে এমন কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। নারায়নগঞ্জ ও ঢাকা থেকে নিয়ে আসাদের মাঝেই করোনা শনাক্ত হয়েছে। শহর থেকে আসা লোকজনই বাজার ও মহল্লা গুরোতে বেশি ঘুরাঘুরি করে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কাদিও মোল্লা জানান,এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে কোন ভাবেই এলাকার সাধারন মানুষকে নিরাপদে রাখা সম্ভব না। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ছাড়া এমন অবস্থা থেকে উত্তরন সম্ভব না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএম জহিরুল হায়াত বলেন, সামাজিক দুরুত্ব বজায়ে রাখার জন্য আমরা সচেতনা বৃদ্ধিসহ আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছি।