মিজান লিটন : চাঁদপুরের মতলবে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা খবির হোসেন হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত প্রধান আসামি সংসদ সদস্য এয়ার ভাইস মার্শাল এম রফিকুল ইসলামের ভাতিজা মো. দুলাল দেওয়ান আটক হয়েছে। আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে দুলাল দেওয়ান আজ ২৬ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করে। এ সময়ে তার জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। স্থানীয় সংসদ সদস্য এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) এম রফিকুল ইসলামের পিএস ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মো. খবির হোসেন প্রধানকে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে দুলাল দেওয়ানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ৪ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে খবির মারা যায় । মতলব দক্ষিণ থানা সংলগ্ন সরকারি খাস জায়গার লিজ নিয়ে ভাগ-ভাটোয়ারা, দলীয় কোন্দল ও ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানা যায়।হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে মো. বাসার ছাড়া সবাইকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা বর্তমানে জামিনে রয়েছে । আটককৃতদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) এম রফিকুল ইসলামের ভাতিজা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিদর্শক দুলাল দেওয়ানের নাম বেরিয়ে আসে। ফলে তদন্তকারী কর্মকতা দুলাল দেওয়ানকে প্রধান আসামি করে খবির হত্যা মামলার চার্জশীট দাখিল করে । যুবলীগ নেতা খবির খুন হওয়ার পর থেকেই দুলাল দেওয়ান আত্মগোপন করে । পুলিশ আসামিদের আটক অভিযান শুরু করলে সে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেয়। ঐ জামিননামায় উল্লেখ ছিল দুলাল দেওয়ানকে খবির হত্যার ঘটনায় চার্জশীট দাখিলের পূর্ব পর্যন্ত গ্রেফতার বা হয়রানী করা যাবে না। এর পর থেকে দুলাল দেওয়ান প্রকাশ্যে মতলবে চলা-ফেরা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান গত মে মাসে দুলাল দেওয়ানকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার আদালত প্রধান আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ