মতলব দক্ষিণ: চলমান এইচএসসি পরীক্ষা চাঁদপুরের মতলবের রয়মনেননেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ (মতলব কেন্দ্র-২) এর কেন্দ্র সচিব কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে তার পছন্দের শিক্ষক নিয়োগ করে অনিয়ম চালিয়ে আসছে বলে কলেজের একাধিক শিক্ষক, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ।
সরজমিনে পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কেন্দ্র পরিদর্শকের সঙ্গে বাকবিতন্ডা চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মতলব ডিগ্রি কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম ইমু ওই দিন তারই বিষয় ভিত্তিক পরীক্ষা চলাকালে রয়মনেননেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র সচিবের অনুমতিক্রমে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা আহসান হাবীবের সঙ্গে কয়েকটি কক্ষ ঘোরাফেরা করে। কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষক ইকবাল হোসেন এ বিষয়টি তার ব্যবহৃত মুঠোফেনের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে একাধিক ব্যক্তিকে অবহিত করেন।
পরে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব ওই দুই শিক্ষককে কেন্দ্র সচিবের অফিসে ডেকে নিয়ে আসেন। কর্মকর্তা আহসান হাবীব কেন্দ্র সচিবের কাছে জানতে চান, কি করে অনুমতি ছাড়া বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক কেন্দ্রে প্রবেশ করে এবং কক্ষ পরিদর্শক কেন্দ্রের ভেতরে কীভাবে মুঠোফোন ব্যবহার করে। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব কিছুই বলতে পারেননি। কেন্দ্রের কর্মকর্তা আহসান হাবীব বিষয় ভিত্তিক শিক্ষককে কিছু না বললেও কক্ষ পরিদর্শক ইকবালকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য কেন্দ্র সচিবকে একাধিকবার নির্দেশ দেন।
বিষয়টি কেন্দ্র সচিব প্রথমবারের জন্য ক্ষমা করার অনুরোধ জানালে স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আহসান হাবীবকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ ইমদাদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলমান এইচএসসি পরীক্ষা মতলব দক্ষিণে যথানিয়মে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রয়মনেননেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের বিষয় স¤পর্কে তিনি বলেন, এ কেন্দ্রে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি ও বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক পরীক্ষা কক্ষে ঘোরাফেরা করেনি।
কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা আহসান হাবীবের সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ওইদিন কেন্দ্রে কোনো বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক এবং বহিরাগত ব্যক্তি আমার সাথে ঘুরাফেরা করেনি। প্রত্যাহারের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি আমি পাইনি। বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানায়, মতলবের দুটি কলেজের শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ অন্তকোন্দলের কারণেই পরীক্ষা আসলে শিক্ষকদের মাঝে এ ধরণের ঘটনা ঘটে।