মতলব প্রতিনিধি=
মতলব উত্তর উপজেলায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের থেকে কেন্দ্র ফি’র নামে বিদ্যালয়গুলোতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত ১৪০টাকার স্থলে এ উপজেলায় ৫ হাজার ২৪৮পরীক্ষার্থীদের থেকে ৩৫০টাকা থেকে ৮০০টাকা পর্যন্ত কেন্দ্র ফি উত্তোলন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছে। মতলব উত্তর উপজেলায় জেএসসি’র ৯টি এবং জেডিসি’র ২টি কেন্দ্র। উপজেলার ওটারচর উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্র ফি নেয়া হয়েছে জনপ্রতি ৮০০টাকা হারে আর এই সাবকেন্দ্রের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২৯৫জন, জমিলাখাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্র ফি নেয়া হয়েছে ৫০০টাকা হারে কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৩৪৮জন, দশানী-মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্র ফি নেয়া হয়েছে ৪০০টাকা হারে এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬৭৮জন। অন্যদিকে, ছেঙ্গারচর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১হাজার ১০৩জন, নাউরী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৮২৭জন, বাগানবাড়ি অইডিয়াল একাডেমী কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৮৫৯জন, নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪৬৭জন এবং এই ৪টি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের থেকে কেন্দ্র ফি বাবদ নেয়া হয়েছে জনপ্রতি ৩৫০টাকা হারে। জেডিসি’র ফরাজীকান্দি ওয়াইসিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখা ২৭৬জন, আউলিয়াবাগ দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১৯৩জন উভয় কেন্দ্রেই কেন্দ্র ফি নেয়া হয়েছে ৪০০ টাকা হারে।
গত কয়েক বছর ধরেই মতলব উত্তর উপজেলায় জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নিয়মিতভাবে মাত্রারিক্ত হারে কেন্দ্র ফি উত্তোলন করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়ে থাকলেও প্রশাসন উল্লেখ করার মতো কার্যকরী কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। ফলে এ উপজেলায় বিভিন্ন পরীক্ষায় মাত্রারিক্ত হারে কেন্দ্র ফি উত্তোলনের বিষয়টি এখন যেনো আর অনিয়মের মধ্যেই পরে না, এখানে এমনই একটা অবস্থা বিরাজ করছে।
জেএসসি পরীক্ষায় কেন্দ্র ফি উত্তোলনের ব্যাপারে কথাহলে সাবকেন্দ্র ওটারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম না প্রকাশ করা শর্তে এক সিনিয়র শিক্ষক জানান, আমরা ৮০০টাকা হারে কেন্দ্র ফি উত্তোলন করছি। এ কারনে মূল কেন্দ্রে (ছেঙ্গারচর) জমা দিতে হবে ৪০০টাকা হারে এবং আমাদের সাবকেন্দ্রের চারদিকে বেড়াদিতে খরচ হয়েছে সেজন্যে ৪০০টাকা। এছাড়াও জমিলাখাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথাহলে তিনি ৫০০টাকা হারে এবং দশানী-মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানর শিক্ষক ৪০০টাকা হারে কেন্দ্র ফি উত্তোলন করার কথা স্বীকার করেন।
তবে সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ২৯৩জন ও নন্দলালপুর ছামাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ২১৪জন এবং উভয় কেন্দ্রেই ৫শতাধিক টাকা হারে কেন্দ্র ফি উত্তোলন করা হয়েছে বলে খবর রয়েছে।
জেএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্ত হারে কেন্দ্র ফি উত্তোলনের ব্যাপারে মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী ওয়াহিদ মোঃ সালেহ-এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।