
মতলব দক্ষিণে করোনায় মৃত্যু হয়েছে সন্দেহে তার লাশ বাড়িতে প্রবেশে ও
দাফনে বাধার সৃষ্টি করেছে এলাকাবাসী। গত ২১ এপ্রিল রাতে উপজেলার নওগাঁও
গ্রামের পূর্বপাড়া খান বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায়
লাশ তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী থেকে জানা যায়, ওই গ্রামের আঃ করিম খানের ছেলেকে
করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১৫ দিন পূর্বে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গত ১৯ এপ্রিল দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ২১ এপ্রিল রাতে
ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে তার লাশ নিয়ে আসলে রাস্তা ব্যারিকেড দেয়
এলাকাবাসী। সংবাদ পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ ওই ব্যারিকেড সরিয়ে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৃত ব্যক্তির ছেলে শাকিল আহমেদ বলেন, আমার বাবা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের
অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন। দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা ঢাকায় বসবাস করে আসছি।
পরে উপাদী উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ প্রধান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
মারকাজুল ইসলামের ২ জন প্রতিনিধি ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেঙ্রে স্যানিটারী ইন্সপেক্টর গাজী মোঃ খোরশেদ আলমের সহায়তায় লাশ
পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়। এছাড়াও ব্যবহৃত পিপিই ও অন্যান্য
সরঞ্জামাদি পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ১৪ দিনের হোম
কোয়ারেন্টাইনে রাখতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, সংবাদ পাওয়ার সাাথে সাথে
ঘটনাস্থলে নিয়ে পরিস্থিতি আনা নিয়ন্ত্রণে হয় এবং লাশের সাথে কাগজপত্র
পর্যালোচনা করে করোনা নেই বলে লোকজনকে আশ্বস্ত করে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা
হয়।