এক গৃহবধূকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গণধর্ষণ করার পর তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সাত বন্ধু। ধর্ষণের পর ওই গৃহবধূ বিয়ের প্রস্তাব দিলে কেউই রাজি হয়নি। হত্যার পরিকল্পনা টের পেয়ে কৌশলে ওই গৃহবধূ বেঁচে আসার পর ঘটনাটি ফাঁস হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে মতলব উত্তর উপজেলার নওদোনা গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ও এ ঘটনার প্রধান পরিকল্পনাকারী নওদোনা গ্রামের মতিন বেপারীর ছেলে জনিকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ওই গৃহবধূ তার শ্বশুড় বাড়ি বদরপুর গ্রামে থাকতেই জনির সাথে যোগাযোগ হতো। কিছুদিন আগে সে তার পিতার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাঊদকান্দিতে চলে যায়। গত ৫ জুন দুপুরে জনি তাকে মুঠোফোনে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ডেকে আনে মতলব উত্তরের নওদোনা গ্রামে। নিশ্চিন্তপুর স্কুলের পশ্চিম পাশর্ে্ব আয়েত আলী বেপারীর পরিত্যক্ত বাড়িতে রেখে তাকে জনি ও তার ৬ বন্ধু নওদোনা গ্রামের নূরু পাঠানের ছেলে শাহাদাত, পাঠানচক গ্রামের নিজাম মীরের ছেলে রাবি্ব, ব্রাহ্মণচক গ্রামের জলিল ঢালীর ছেলে বাবু ঢালী, নওদোনা গ্রামের তাজুলের ছেলে এনামুল, ভাইগারচক গ্রামের আমিনুলের ছেলে শুভ ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ইব্রাহিম সরকারের ছেলে রায়হান সরকার মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গৃহবধূ বিয়ের প্রস্তাব করলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বিষয়টি সে বুঝতে পেরে গত ৬ জুন বিকেলে নিশ্চিন্তপুর স্কুল মাঠে এসে ডাক-চিৎকার দিলে ঘটনাটি ফাঁস হয়। পরে জনির দাদা রহমান বেপারীর জিম্মায় মেয়েটিকে রাখা হয়। পরদিন ৭ জুন সকালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ও জনিকে আটক করে।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে এনে ধর্ষণ করা হয়েছে। এখন তাকে কেউই বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে ধর্ষণ ও অপহরণ আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ০৮, তারিখ ০৮/০৬/২০২০খ্রিঃ।