মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৫নং উপাদী উত্তর ইউনিয়নের দেলদিয়া গ্রামের প্রবাসী শহীদ উল্লাহ হাজীর বাড়িতে গত ২৩ মে গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই বাড়ির একতলা ভবনের গ্রীল কেটে ভিতরে ঢুকে প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল। ডাকাতদের বাধা দিতে গিয়ে বৃদ্ধসহ আহত হয় তিন জন। ডাকাতির সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ এবং ডাকাতদের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোন, বেশ কয়েকটি লুঙ্গি ও কয়েক জোড়া জুতা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রবাসী শহীদ উল্লাহ মিয়াজীর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার জানান, রাতে আমি ও আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে থাকি এবং অপর একটি কক্ষে আমার শ্বশুর মোঃ হান্নান হাজী (৭০) ঘুমিয়েছিলেন। মধ্য রাতে ১০-১৫ জন ডাকাত জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকে দরজা ভেঙ্গে আমার কক্ষে ঢুকে পড়ে। আমি ডাক-চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতদল আমাকে মারধর করে আমাকে ও আমার মেয়ের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে স্টিলের আলমারির চাবি নিয়ে খুলে কানের দুল, গলার হার, চেইন, আংটি, চুড়ি, ব্যাচলাইট, প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণলঙ্কার, মূলবান দুটি মোবাইল সেট, নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায় এবং কক্ষে থাকা সবকিছু তছনছ করে ফেলে দেয়। এদিকে পাশের কক্ষে থাকা আমার শ্বশুর এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে এবং ডান হাতে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত যখম করে।
তিনি আরও জানান, ডাকাতদের গ্রিলের জানালা কাটার শব্দ শুনে সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে আমার দেবর অলুকে জানানোর সাথে সাথে ডাকাতরা ভেতরে প্রবেশ করে প্রথমেই মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে যায়। আমার দেবর সংবাদ পেয়ে ডাকাত ডাকাত বলে ডাক-চিৎকার দিলে এলাকাবাসী দৌড়ে এগিয়ে আসতে দেখে ডাকাতদল ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের ফেলে যাওয়া দুটি মোবাইল ফোন, সাতটি লুঙ্গি, সাতটি সার্ট, সাত জোড়া জুতা পাওয়া যায়। পরে রাতে পুলিশ আসলে তাদের নিকট মালামালগুলি বুঝিয়ে দেই। ডাকাতদের প্রত্যেকের পরনে সর্ট প্যান্ট ছিল তবে গায়ে কোন পোশাক ছিল না। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলে তারা জানায়।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কুতুব উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো মামলা করতে আসেনি।