স্টাফ রিপোর্টার ॥
মতলব দক্ষিন উপজেলার বাইশপুরের মুজিবুল হক প্রধানের ছেলে হেলাল প্রধানীয়া তার স্ত্রী শিরিনা আক্তারকে যৌতুকের জন্য মারধর করে তার বাপরে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে হেলাল তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে পুণরায় স্ত্রীকে মারধর করে এবং ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, বিগত ৫ বছর পূর্বে একই উপজেলার বাইশপুর ইউনিয়নের মুজিবুল হক প্রধানের ছেলে হেলাল প্রধানীয়ার সাথে উপাদী ইউনিয়নের বহরি গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির মৃত. ছলেমান প্রধানীয়ার মেয়ে শিরিনা আক্তারের বিবাহ হয়। বিয়ের প্রথম কয়েকদিন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে কাটলেও পরবর্তিতে হেলাল যৌতুকের জন্য শিরিনাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দিতে থাকে। শিরিনা তার পরিবারে কাছ থেকে সাধ্য অনুযায়ী মাঝে মধ্যে স্বামী হেলালকে টাকা ও বিভিন্ন জিনিস পত্র এনে দিতো।
শিরিনা জানায়, হেলাল এলাকার কিছু মাদকাশক্ত যুবকের সাথে মিশে মাদক সেবন করতে থাকে। তখন থেকেই সে আমার উপর অমানষিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেয় এবং আমাকে প্রায় সময়ই শারীরিক ভাবে মারধর করতো। এক পর্যায়ে আমাকে মারধর করে হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে। তার এ অত্যাচার সইতে না পেরে ৪ বছরের শিশু পুত্রকে সাথে নিয়ে আমি বাপের বাড়িতে চলে আছি। বিগত ৪মাস বাপের বাড়িতে থাকার সময়ও সে আমাকে প্রায় যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতো। যৌতুক না দিতে পারলে তার বাড়িতে যেতে নিষেধ করে এবং মোবাইলে হুমকী ধমকি সহ অশ্লিল ভাষায় গাল মন্ধ করে। আমার বাবা নেই, আমি আমার বাপের বাড়িতে বৃদ্ধ মা সহ বসবাস করি। এছাড়াও আমার অসহায় দু’ভাই আছে। তারা ফার্নিসারের কাজ করে। কাজের প্রয়োজনে তারা বাড়িতে থাকেনা। এ সুযোগে ২৩ অক্টোবর রবিবার সকাল ১১টার দিকে হেলাল বেশ কয়েকজন লোককে সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে এবং ঘরে থাকা ফ্রিজ, টিভি, আলমারি সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র ভাংচুর করে। এছাড়াও ঘরে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে যায়। আমাদের ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে সে তার সাথে থাকা লোকজন নিয়ে চলে যায়।
বর্তমানে শিরিনার পরিবার হেলালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে এলাকাবাসী জানায়, হেলাল প্রায় সময়ই শিরিনাকে মারধর করেছে তা আমরা জানতে পেরেছি এবং সে এলাকার বখাটে ও মাদকাসক্তদের সাথে জড়িত রয়েছে। তাই নেশার টাকার জন্য শিরিনাকে প্রায় সময়ই মারধর করে। এ অসহায় পরিবারটিকে এ দুষ্ঠ প্রকৃতির মাদকাসক্ত হেলালের হাত থেকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।