
মতলব পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে শালিশী বৈঠক কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভিমুখে মতলব থানা রোডে। গতকাল ৩ মে তারাবি নামাজ চলাকালিন সময়ে ঘন্টা ব্যাপি চলা এই সংঘর্ষে ১৫-২০টি দোকান ভাংচুর-লুটপাটসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
জানা যায়, গত ২ মে মতলব পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সওদাগর বাড়ির এক মেয়েকে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করেন। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ভাবে মীমাংশা করার লক্ষে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পৌর ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে শালিশী বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকের এক পর্যায়ে সওদাগর বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় সওদাগর বাড়ির মহিলারাও এ সংঘর্ষে অংশ নেয় এবং তাদের প্রত্যেকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে মরিচের গুড়ো।
এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তারাবি নামাজের সময় চলা ঘন্টা ব্যাপি এই সংঘর্ষে সওদাগর বাড়ির লোকজন মতলব থানা রোডে অবস্থিত ১৫-২০টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঘটনার পর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল, পৌর প্যানেল মেয়র আবুল বাসার পারভেজ সহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং আহতদের দেখতে উপজিলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান।
সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে মতলবের সার্কেল রাজন কুমার দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে উভয় পক্ষকে শান্তিসৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।