শওকত আলী
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে ব্যাপকভাবে সরিষার চাষ হচ্ছে। এখন বিলের পর বিল শুধু সরিষা ফুলের সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ছে। সেচ প্রকল্পের ভেতরে জমি উর্বর হওয়ায় এবার এখানকার কৃষকরা সরিষার চাষের দিকে ঝুকে পড়েছে। এসব এলাকার দরিদ্র কৃষকরা রবি মৌসুমে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছে। সরজমিনে দেখা যায়, মেঘনা-ধনাগোদা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল ও সেচ প্রকল্পে এ বছর কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে সরিষা চাষ শুরু করে। প্রতিটি জমিতেই তরতাজা সবুজ সরিষা গাছগুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে ওঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা, ১৪টি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। এরমধ্যে চরাঞ্চলই বেশির ভাগ জমিতে চাষ হয়েছে উন্নত ফলন জাতের সরিষা। সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। চরকাশিমের কৃষক ইব্রাহিম গাজী জানান, এ বছরই তিনি প্রথম চরাঞ্চলের জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। তার জমিতে সরিষার গাছগুলো যেভাবে লকলকিয়ে উঠেছে এবং হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে তাতে তিনি এ বছর সরিষার ভাল ফলন পাবেন বলে আশা করেন। ওটারচরের কৃষক নাছির উদ্দিন জানান, এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় জমিতে সরিষার ফলন ভাল হয়েছে। গত বছর যে সমস্ত জমিতে ভূট্টা চাষ করা হয়েছিল সেই জমির অধিকাংশেই এবার সরিষার চাষ করেছেন বেশিরভাগ কৃষক। সরিষার বাড়ন্ত ফুলে ভরা গাছগুলো দেখে তিনি আশান্বিত হয়েছেন। এবারে সরিষা উৎপাদন করে কৃষকরা যথেষ্ট লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করেন। এ এলাকার কৃষকরা রবি মৌসুমে মরিচ, সরিষা, ছিটানো পিয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, ডাল, ভুট্টা, ধনিয়া পাতা, আলু ও মিষ্টি আলু, বাদামসহ বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। যা চরাঞ্চলের চিরায়ত অভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।