প্রতিনিধি
মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামে তিন রাস্তার মোড়ে দুটি দোকানে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
সরজমিনে জানা যায়, দোকানদার লুৎফর রহমান ও মোঃ রিপন মিয়া রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। রাত সাড়ে ৩টায় পাশের বাড়ির জোহরা নামে এক নারী আগুনের বিষয়টি টের পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন রিপনের দোকান পুড়ছে। তিনি ডাক-চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন আসে। এরই মধ্যে রিপনের দোকান জ্বলে লুৎফর রহমানের দোকানও পুড়ে যায়। পাশে আরো দুটি দোকান ছিলো, তা রক্ষা করা গেলেও লুৎফর ও রিপনের দোকান দুটি রক্ষা করা যায়নি, দুটি দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জোহরা বেগম জানান, আমি ঘরে শুয়ে ছিলাম। আমার বাচ্চা রাত আনুমানিক ৩টায় কেঁদে উঠে। আমি ঘুম থেকে জেগে উঠি। এরপরই আগুনের ঘটনা টের পাই। পরে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি রিপনের দোকান পুড়ছে। ব্যবসায়ী রিপন জানান, আমি বৃহস্পতিবার রাতে কাজ শেষে দোকান বন্ধ করে যাই। আগুনের সূত্রপাত হতে পারে এমন কোনো দ্রব্য দোকানে ছিলো না। আমার ধারণা, কোনো শত্রুপক্ষ দোকানে আগুন দিয়েছে। ১ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিলো দোকানে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমার সংসারে ৪জন ছেলে-মেয়ে রয়েছে। এই দোকানই একমাত্র সম্বল ছিলো। আমার আর কিছুই রইলো না, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। আরেক ক্ষতিগ্রস্ত লুৎফর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার ভোর রাতে ডাক-চিৎকার শুনে আমি দোকানের কাছে আসি। ততক্ষণে অন্য দোকান রক্ষা করা গেলেও আমারটিসহ দুটি দোকান রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আমার দোকানে মুদি, মনোহরি, স্টেশনারীসহ বিভিন্ন প্রকার ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিলো।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে মতলবের কৃতী সন্তান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ও স্থানীয় লোকজন।