মতলব উত্তর :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পল্লীতে এক কিশোরী (১৭)কে ৯ যুবক ৯দিন আটক রেখে পালাক্রমে গনধর্ষণ করেছে। কিশোরী ৯দিন পর উদ্ধার হয়ে মতলব উত্তর থানায় হাজির হয়ে ৯ ধর্ষককে আসামী করে ৩০জুলাই মঙ্গলবার মামলা করেছে। পুলিশ মোহন ও রহমত আলীকে আটক করেছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ধর্ষিতা ঠেটালিয়া গ্রামের মৃত. হাজী সুলতান বেপারীর ছেলে মোহন (২৭), মান্নান মেম্বারের ছেলে জামাল (২৫), আর্শাদ বেপারীর ছেলে রহমত আলী( ২৫), ঠেটালিয়ার কামরুল (২৮), ফতেপুর গ্রামের শাহআলম সিকদারের ছেলে রিগান (২৮), আবরা আলী (২৭), ঠেটালিয়ার কালু সরকারের ছেলে সাইফুল সরকার (৩২), ফতেপুরের হাবুল বেপারীর ছেলে চায়না রুবেল ও লুধুয়া গ্রামের শফিককে আসামী করে মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের করে।
ধর্ষিতার অভিযোগ সূত্রে জান যায়, গত ২১জুলাই সকাল ৮টায় নিজবাড়ী সুলতানাবাদ ইউনিয়নের বড় লক্ষ্মীপুর গ্রাম থেকে সাহেববাজার যাওয়ার পথে ধনাগোদা নদী পাড় হওয়ার পর টরকী লঞ্চঘাট বেড়ীবাঁধের উপর পৌছলে আসামী ঠেটালিয়া গ্রামের মোহন(২৭), জামাল (২৫), রহমত (২৫) ও শফিক (২৭) জোড়পূর্বক আমাকে সিএনজিতে তুলিয়া টরকী গ্রামে শফিকের নানির বাড়ীতে মোহনের স্ত্রী পরিচয়ে আমাকে ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দিয়া জোর পূর্বক আটক রাখে। ঐদিন রাত্রে ঘরের এক রুমে মোহন ও রহমত জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ২৩জুলাই সকাল ১০টায় জামাল সিএনজি নিয়ে আমাদের নিকট যাইলে জামাল, রহমত ও মোহন সিএনজিতে তুলে লুধুয়া জামালের ভাবি পরিচয়ে একবাড়ীতে নিয়ে আসার পথে মোহন সাহেববাজারে সিএনজি থেকে নেমে যায়। জামাল আমাকে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে লুধুয়াস্থ জামালের কর্থিত ভাবির বাড়িতে নিয়ে এসে জোরপূর্বক আটক রেখে রাত্রে জামাল এবং কামরুল জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ২৪ জুলাই ঐবাড়ীতে আমাকে আটক রেখে জামাল ও কামরুল পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরের দিন ২৫জুলাই রাত ১১টায় জামাল ও রহমত লুধুয়া থেকে শম্ভুখাঁ ব্রীজের পাশে আমাকে মোহনের হাতে তুলে দেয়। মোহন জোড়পূর্বক তার বাড়ীতে আটক রাখে। রাত ১১টায় সাইফুল ও রিগান মোহনের বাড়ীতে তার সহায়তায় জোরপূর্বক যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খাওয়ায় পরে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ২৬জুলাই ৯টায় মোহনের বাড়ী থেকে মোহন, রিগান ও চায়না রুবেলসহ সিএনজি যোগে আমাকে চায়না র“বেলের লুধুয়াস্থ মুরগীর খামারে নিয়ে যায় এবং সকল আসামীরা পর্যায়ক্রমে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ২৯ জুলাই সোমবার ভোর ৪টায় মোহন, রহমত, চায়না র“বেলসহ সিএনজি যোগে আমাকে টরকী লঞ্চঘাটে রেখে চলে যায়। সেখান থেকে আমি (ধর্ষিতা) হাটতে হাটতে সাহেব বাজার ব্র্যাক অফিসের সামনে আসিলে পাশ্ববর্তী গ্রামের আমার খালু জনৈক খোকন মিয়া আমাকে উদ্ধার করে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়।
ধর্ষিতা বাবা-মার কাছে বিস্তারিত জানালে তাদের সহযোগিতায় মঙ্গলবার মতরব উত্তর থানায় হাজির হয়ে মামলা করেন।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ এরফান বলেন, কিশোরী ৯দিন নিখোজ থাকলেও তার অভিভাবকরা কোন প্রকার নিখোজ ডায়রী করেনি। মেয়েটি উদ্ধার হয়ে থানায় অভিযোগ করার প্রেক্ষিতে অপহরণ করে গনধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা করা হয়েছে। বাকী আসামীদের ধরতে চেষ্টা চলছে।