প্রতিনিধি
মতলব উত্তর ফতেপুর গ্রামে গৃহবধু মনিরা আক্তার ঝরনার খুনের ঘটনায় মূল আসামি তার স্বামী তাজুল ইসলামকে ৩৫ দিন পর আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা কাফরুল থানার পুলিশ তাকে মহাখালী এলাকা থেকে আটক করে। ঐ দিন রাতেই মতলব উত্তর থানার পুলিশ তাকে চাঁদপুর নিয়ে আসে। পরে শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।
এদিকে আটক তাজুলের ফাঁসির দাবিতে মৃত ঝরনার বাবার বাড়ি মতলব উত্তর ঠেটালিয়া গ্রামের স্থানীয় এলাকাবাসি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। শুক্রবার দুপুরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনকারি কয়েকশ’ মহিলা-পুরুষ সমস্বরে ঐ ঘাতকের ফাঁসির দাবি জানায়। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, মৃত ঝরনার স্বামী ও মামলার মূল আসামিকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্র“য়ারি রাতে মতলব উত্তরের দক্ষিণ ফতেপুর গ্রামে যৌতুকের টাকা না পেয়ে মনিরা আক্তার ঝরণা (২৮) নামের ২ সন্তানের জননীকে স্বামী ও শাশুড়ি নির্যাতন করে খুন করে। এ ঘটনার পর ঝরণার বড় ভাই মোঃ আলাউদ্দিন বাদি হয়ে স্বামী ও শাশুড়িকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ পর থেকেই ঝরণার স্বামী ও শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
ঝরণার ভাই আলাউদ্দিন জানায়, ২০০৬ সালে মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ ঠেটালিয়া গ্রামের নুরুল হক মোল্লার মেয়ে ঝরণা পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ ফতেপুর গ্রামের মৃত আবদুল করিম মোল্লার ছেলে তাজুল ইসলাম তাজুর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে অনন্যা (৬ বছর) ও সানজিদা (১১মাস) নামে দু’টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বাবার বাড়ি থেকে ঝরণাকে ব্যবসার জন্যে স্বামী তাজু ও শাশুড়ি অহিদা বেগম টাকা আনতে বলতেন। ইতোপূর্বে ব্যবসার কাজের জন্যে তিন ধাপে ৫লাখ টাকা