স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের দক্ষিণ ফতেপুর গ্রামে গৃহবঁধূ ঝরনার খুনের ঘটনায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ বরং আসামি পক্ষের সাথে যোগসাজেশে হত্যার ঘটনাকে আতœহত্যা বলে প্রমাণ করতে চাচ্ছে পুলিশ এমনই অভিযোগ নিহত গৃহবঁধূর স্বজনদের। এ ঘটনায় সুবিচার পাওয়ার আশায় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন নিহত গৃহবঁধূ ঝরনার বড় ভাই মোঃ আলাউদ্দিন।
নিহতের স্বজনরা জানায়, গত ২১ ফেব্র“য়ারি শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টায় গৃহবঁধূ মনিরা আক্তার ঝরনার সাথে স্বামী তাজুল ইসলাম তাজু ও শাশুড়ি অহিদা বেগমের যৌতুক নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। তার আত্মচিৎকার এলাকার মানুষেরও কানে আসে। এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে লাশ ঘরের ভিতর আড়ার সাথে ঝুঁলিয়ে রাখে। এ ঘটনার পর ঝর্নার স্বামী ও শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঐ দিন রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ঝর্নার বড় ভাই মোঃ আলাউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের টাকা না পেয়েই আমার বোন ঝর্নাকে তার স্বামী ও শাশুড়ি নির্যাতন করে খুন করেছে। তিনি জানান, ২০০৬ সালে মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ ঠেটালিয়া গ্রামের নুরুল হক মোল্লার মেয়ে ঝর্নার সাথে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ ফতেপুর গ্রামের আবদুল করিম মোল্লার ছেলে তাজুল ইসলাম তাজুর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে অনন্যা (৬) ও তাসপিয়া (১১মাস) নামে দু’টি কণ্যা সন্তান রয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বাবার বাড়ি থেকে ঝরনাকে ব্যবসার জন্যে স্বামী তাজু ও শাশুড়ি অহিদা বেগম টাকা আনতে বলতেন। ইতোপূর্বে ব্যবসার কাজের জন্যে তিন ধাপে ৫লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও আমার বোনের কপালে সুখ জোটেনি বরং ঘাতকরাই কেড়ে নিলো তার প্রাণ। কিন্তু এরপরও থানায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।
এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।