মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচানী গ্রামে সঞ্জিত দাসের স্ত্রী নূপুর দাস (২৭)-এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেনূপুর দাসকে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ আসমা আক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে স্বামী সঞ্জিত দাস স্ত্রী নূপুরকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় বউ বাজারে চলে যায়। পরে নূপুরের ছেলে ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী নীরব দাস স্কুল থেকে দুপুর ২টায় বাড়িতে এসে মা’কে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে থাকতে দেখে ডাক চিৎকার দেয়। তখন আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসে এবং স্বামীকে খবর দেয়। স্বামী সঞ্জিত দাস এসে নূপুরকে নিয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েআসলে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ আসমা আক্তার জানান, তিনি অনেক পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেছেন। এরপর স্বামী সঞ্জিত দাস তার শ্বশুর বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার কলাদী এলাকায় ধোপা বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানান। নূপুরের মৃত্যুর খবর শুনে ও সঞ্জিতের কথার সাথে গড়মিলের কারণে তখন তাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারধর করে।
স্থানীয় লোকজন জানান, বিয়ের পর থেকেই সঞ্জিত দাস তার স্ত্রীকে কারণে-অকারণে মারধর করতো। ঘটনার দিন সকালেও নূপুরের ডাক চিৎকার শুনতে পেয়েছি। পরে দুপুরে তার ছেলের ডাক চিৎকারে আমরা গিয়ে দেখি নূপুর ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। এলাকার কেউ কেউ বলছে, নূপুরকে তার স্বামী মেরে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আবার কেউ বলছে, মারধর সহ্য করতে না পেরে নূপুর আত্মহত্যা করেছে।