মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার বারোআনি গ্রামে ভাড়া বাসায় একটি প্রাইভেট কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি আহসান উল্লাহর (৪২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ গ্রামের ডাঃ ফয়েজ আহমেদের টিনশেড ভবনের এক কক্ষে ফ্রেস কোম্পানীর (কন্জুমার) বিক্রয় প্রতিনিধি আহসান উল্লাহ বসবাস করতেন। গতকাল শনিবার সকালে কাজে যাওয়ার জন্যে পাশের রুমমেট বিক্রয় প্রতিনিধি ইয়াকুব আহসান উল্লাহকে ডাকতে গিয়ে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা ভাঙ্গা স্থান দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখতে পান আহসান উল্লাহর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। সাথে সাথে বাড়ির মালিক ডাঃ ফয়েজ আহমেদকে তিনি ঘটনাটি জানান। ডাঃ ফয়েজ আহমেদ মতলব উত্তর থানাকে অবহিত করলে থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক কামাল, পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন রনি, সেকেন্ড অফিসার এসআই ওমর ফারুক, এসআই কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে লাশ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়।
আহসান উল্লাহ (৪২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঝুগিরকান্দি গ্রামের মৃত টুকু মিয়ার ছেলে। তিনি ৪ সন্তানের জনক। আহসান উল্লাহ মেঘনা গ্রুপে সেল্সম্যান এ কর্মরত ছিলেন। মেঘনা গ্রুপের ছেংগারচর বাজার ডিস্ট্রিবিউটর কামরুজ্জামান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে রাতে আহসান উল্লাহ নিজ কক্ষে চলে যান। সকালে ইয়াকুবের কাছ থেকে আহসান উল্লাহর মৃত্যুর খবর পাই।
বাড়ির মালিক ডাঃ ফয়েজ আহমেদ জানান, সকালে আমার এ ভাড়াটিয়া আহসান উল্লাহর রুমের দরজা ভেতর দিয়ে বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খুললে জানালা দিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। সাথে সাথে পুলিশকে বিষয়টি জানাই। এ ব্যাপারে মৃত আহসান উল্লাহর বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫/৬জনকে আসামী করে থানায় একটি আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ এনে এজাহার দায়ের করেন। মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক কামাল বলেন, ঘটনাটি জানার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।