প্রতিনিধি ॥ বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধের আইন থাকলেও মানছে না বর্তমান সমাজ। এ বিবাহে সহযোগীতা করছে সমাজ পরিচালকরাই। এতে করে অমান্য করা হচ্ছে আইনকে, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে সভ্যতার সমাজ ও ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে সরকারি ভ্যাট। মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বাল্য বিবাহের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইউএনও একেএম মনিরুজ্জামান এ উপজেলা থেকে কর্মবিরতি নেয়ার পর প্রতিনিয়তই চলছে বাল্য বিবাহ। একটি বিয়ের তথ্য তুলে ধরা হলো।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার দুলালকান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলামের মেয়ে নিপা আক্তাররের সাথে নবুর কান্দি গ্রামের চাঁনমিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের বিয়ে হয়েছে। এ বিয়েকে বাল্য বিবাহ বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী। এর প্ররিপেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা জানা যায়। আনোয়ারের গ্রামের মাতাব্বর চুন্নু সরকার, জাহির মেম্বার, গোয়াল ভাওর গ্রামের মোস্তফা মিয়া ও দুলালকান্দি গ্রামের রেহান উদ্দিন উপস্থিত থেকে এ বিয়ে দেন। এই মাতাব্বরাই নিপার বাবা সফিকুল ইসলামকে এ বিয়েতে রাজী করিয়েছেন। এতে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যারা সমাজ পরিচালনা করেন তারাই যদি এ কাজে লিপ্ত থাকে, তাহলে আইনের প্রতি কেউই শ্রদ্ধাশীল হতে পারবে না। এক প্রশ্নে জবাবে নিপার মা রেখা বেগম বলেন, বাল্য বিয়ের কারনে কাজী রেজিষ্ট্রেশন করতে আসেনি, এমনকি কোন মসজিদের ঈমামও আসেনি। পরে আমরা নিজেরাই এ বিয়ের কাজ করেছি। আমার মেয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ে। ইভটিজিং ও পরিবারের প্রতিবন্ধকতার কারনে তাকে বিবাহ দিয়েছি। আনোয়ারের মা বলেন, নিপার পিতা ও মাতার সম্মতিক্রমেই এ বিয়ে হয়েছে। আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ জানান, আমার ইউনিয়নে ছেলের বাড়ি তাই এ বিয়ের ঘটনা আমার জানা নেই। তবে বাল্য বিবাহ একটি বে-আইনী কাজ। যেই হোক বাল্য বিয়ের অপরাধীদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।