স্টাফ রিপোর্টার:
মতলব উত্তর উপজেলার মাইজকান্দি গ্রামে মোঃ শাহ আলম মাস্টারের ছেলে মনজুর আলম শাহীনের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার মনি (৩২) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যৌতুকের জন্যে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
গতকাল রোববার ভোরে গৃহবধূ শাহনাজের মেয়ে প্রভাতী আলম প্রভা (৯) তার মায়ের ঝুলন্ত লাশ দেখে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন আসেন। এরপর তার চাচী শাশুড়ি আকলিমা বেগমসহ কয়েকজন এসে শাহনাজের ঝুলন্ত মৃতদেহ নিচে নামায়।
থানায় খবর দিলে গতকাল রোববার সকাল ১১টায় মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন মজুমদার, এসআই কামাল হোসেন (পিপিএম), এসআই সঞ্জয় ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্যে লাশ চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, তার বোন মনি’র কাছে তার স্বামী ১০ লাখ টাকা যৌতুক চায়। এক পর্যায়ে আমরা ৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হই। ওই টাকা দিতে দেরী হওয়ায় সে আমার বোনকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো। আমার মনে হয় তারা আমার বোনকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে এখন আত্মহত্যা বলছে। সাইফুল আরো জানান, গত ১৪ বছর আগে আমার বোনের বিবাহ হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই যৌতুকের বাহানা শুরু করে তার স্বামী। তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রভাতী আলম প্রভা (৯) ও নোভা আক্তার (৩) নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
নিহত মনির শাশুড়ি বলেন, আমার পুত্রবধূ শাহনাজ আক্তার খুব ভাল মেয়ে ছিলো। তার আচার-ব্যবহারে সকলেই সন্তুষ্ট ছিলো। সে এভাবে আত্মহত্যা করবে তা আমাদের জানা ছিল না।
ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। ময়না তদন্তের জন্যে মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে প্রকৃত সত্য পাওয়া যাবে।