মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ইন্দুরিয়া গ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবারবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মোহনপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী মিলন শিকদার (৩২) খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে থানা পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে মিলনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘাতকের দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা আক্তার (২৩)-কে আটক করা হয়। নিহত মিলন শিকদারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের লনি শিকদারের ছেলে মিলন শিকদার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ইন্দুরিয়া গ্রামের দেলোয়ার শিকদারের মেয়ে সীমা আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে গত দু’বছর পূর্বে তারা চাঁদপুর নোটারী পাবলিক’র মাধ্যমে বিয়ে করে। মিলন শিকদারের প্রথম স্ত্রী শারমিন আক্তার ও একমাত্র ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪) থাকাবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করার সংবাদ পরিবারের লোকজন জানতে পেরে দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা আক্তারকে ত্যাগ করার জন্য চাপ দিলে এ নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা ও মিলনের মধ্যে বেশ কয়েকবার মনোমালিন্য হয়। গত বুধবার মিলন তার স্ত্রী সীমার মোবাইলে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সীমা মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় সন্ধ্যায় মিলন শিকদার তার শ্বশুর বাড়ীতে যায়। স্ত্রী সীমা আকতারকে চাঁদপুরে ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী সীমা ও আত্মীয়রা মিলনের মাথায় আঘাত করে। মস্তিকে আঘাত জনিত কারণে কান দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে শ্বশুরবাড়ীর লোকজন মিলনকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান আহত মিলনকে মৃত ঘোষনা করে। শ্বশুর বাড়ীর লোকজন মিলনের মরদেহ বাড়ীতে নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে, ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করে। মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার এসআই মনির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা আকতারকে পুলিশ আটক করে। ঘটনার পর সীমা মা ও স্বজনরা পলাতক রয়েছে। আরো জানা যায়, মিলন শিকদারের বাবা লনী শিকদার ও সীমা আক্তারের পিতা দেলোয়ার শিকদার খালাতো ভাই। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত নিহত মিলন শিকদারের বাবা লনী শিকদার বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।