মতলব উত্তর প্রতিনিধি
ঢাকা হাইকোর্ট ও জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডঃ জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুকে মঙ্গলবার রাতে মতলব উত্তর থানা পুলিশ উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। তার স্ত্রী সাবিয়া সুলতানা জলির মামলায় তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার বদরপুর গ্রামের আবদুস ছাত্তার শিকদারের মেয়ে সাবিয়া সুলতানা জলির সাথে পার্শ্ববর্তী নয়াকান্দি গ্রামের মকবুল হোসেন চৌধুরীর ছেলে জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুর ১৬ জানুয়ারি ২০১২ সালে বিয়ে হয়। অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক চৌধুরী বাবু ঢাকা জজ কোর্টে মোহাম্মদ শাহ্ আলম এন্ড অ্যাসোসিয়েট্স-এ আইন ব্যবসা করছেন। তিনি ১০ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে আইনমন্ত্রীর পিএস হওয়ার জন্য শ্বশুর আবদুস ছাত্তার শিকদারের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা যৌতুক নেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, বিয়ের পর ৩ লাখ টাকা যৌতুক ও আড়াই লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার দেয়া হয় বাবুকে। বিয়ের পর জলিকে স্বামীর বাড়ি না উঠিয়ে তাকে তার বাবার বাড়িতে রাখা হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে পিওনা নামে একটি কন্যা সন্তান আসে। বিভিন্ন সময় শ্বশুর বাড়ি থেকে কয়েক দফা টাকা নেয় বাবু। মেয়ের সুখের দিকে তাকিয়ে জামাতাকে টাকা দেন আবদুস ছাত্তার শিকদার। এরপর ঢাকা প্ল্যাট কিনবে বলে আরো ১০ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে। অন্যথায় জলিকে ত্যাগ করে অন্যত্র বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। জলি যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে বাবু উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী জলিকে গাল মন্দ ও মারধর করে। নিজ কন্যা পিওনাকেও অস্বীকার করবে বলে সে হুমকি দেয়।
এসব ঘটনায় স্ত্রী সাবিয়া সুলতানা জলি বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে স্বামী জিয়াউল হক চৌধুরী বাবু, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী মিনা বেগম, রকিব আহম্মদের স্ত্রী কচি, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরীর ছেলে শুভ ও পলাশ এবং দেলোয়ার হোসেন চৌধুরীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধন/০৩) এর ১১(গ)/৩০ ধারায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ তাকে আটক করে। গতকাল সোমবার জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। জিয়াউল হক চৌধুরী বাবু নিজেকে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন।