প্রতিনিধি
মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর নাউরী গ্রামের লায়লা বেগমের লাশ দাফনের ৪৫ দিন পর ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আবদুল্লাহ সাদিকের উপস্থিতিতে ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান সরকারের তত্ত্বাবধানে লাশ উত্তোলন করে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর লায়লা বেগমের লাশ নিজ বসতঘরে পাওয়া যায়। তখন লায়লা বেগমের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মনে করে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। পরে নিহতের ছেলে মোঃ ইউনুছ (আজাদ) বাদী হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান সরকার জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে মতলব উত্তর উপজেলার ১১নং ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর নাউরী গ্রামে বৃদ্ধা লায়লা বেগমকে (৮০) নিজ বসতঘরে খুন করা হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর ওই ঘরে লায়লা বেগমের লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রথমে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। পরে লায়লার মৃত্যুর ব্যাপারে সন্দেহ হলে র্যাব অনুসন্ধান শুরু করে। ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে র্যাবের একটি দল নিহত ওই বৃদ্ধার ভাতিজা দেওয়ান হাফেজ শিকদার নান্নুকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার নৃশংসতার বর্ণনা দেয়। ঘাতক দেওয়ান হাফেজ শিকদার নান্নু উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের মৃত আবদুল হাই শিকদারের ছেলে। র্যাব-১১-এর একটি দল ঘাতক দেওয়ান হাফেজ শিকদার নান্নুকে নিয়ে মতলব উত্তর থানায় হাজির হয়ে তাকে থানায় সোপর্দ করে। তার বিরুদ্ধে নিহতের ছেলে মোঃ ইউনুছ (আজাদ) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।